উত্তর : সন্তান হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ্র হাতে। যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আসমান ও যমীনের রাজত্ব একমাত্র আল্লাহর। তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন। আবার যাকে ইচ্ছা নিঃসন্তান রাখেন। নিশ্চয় তিনি মহাজ্ঞানী, সর্বশিক্তমান’ (সূরা আশ-শূরা: ৪৯-৫০)। এক বাড়ীতে কারো সন্তান হয়; কারো সন্তান হয় না। সন্তান না-হওয়ার কারণ কখনও পুরুষের পক্ষ থেকে হতে পারে কিংবা মহিলার পক্ষ থেকে হতে পারে। সুতরাং পাত্রীর দ্বীনদারিতা ও চরিত্র যদি সন্তোষজনক হয় এবং পাত্র এতে সন্তুষ্ট সুতরাং এটি উল্লেখ করা অনুচিত। যেহেতু এতে বিয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে কিংবা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা চলমান থাকতে পারে। কিন্তু যদি অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজনের বাচ্চা না হয় কিংবা এ বিষয়টি প্রকাশ্য ও সবার মাঝে জানাশুনা হয়: সেক্ষেত্রে অবহিত করা আবশ্যক; যাতে করে বিষয়টি তার জানা থাকে।
শরী‘আত অধিক সন্তানপ্রসবকারিণী নারীকে বিয়ে করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে (আবূ দাঊদ, হা/২০৫০; নাসাঈ, হা/৩২২৭; সনদ ছহীহ, আদাবুয যাফাফ, পৃ. ১৩২)। বিশিষ্ট ফক্বীহ আলেমগণ বলেছেন যে, কোন নারীর অধিক সন্তান হবে কিনা এটি তার আত্মীয়স্বজনকে দেখার মাধ্যমে জানা যায়। ‘কাশ্শাফুল ক্বিনা’ গ্রন্থে এসেছে, ‘কোন কুমারী মেয়ে অধিক সন্তানধারী হবে কিনা এটি তার নারী আত্মীয়স্বজনদের অধিক সন্তান হওয়ার মাধ্যমে জানা যায়’ (কাশ্শাফুল ক্বিনা, ৫/৯ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : হাবীবুল্লাহ বিন রফিকুল, সাতক্ষীরা।