উত্তর : মহান আল্লাহই একমাত্র হালাল-হারাম ঘোষণা করার অধিকারী। কোন মানুষের সে অধিকার দেয়া হয়নি। ধর্মীয় ও বৈষয়িকতার দৃষ্টিতে কারো মর্যাদা যতই বেশী হোক না কেন আল্লাহ ব্যতীত এ অধিকার কারো নেই। কেউ যদি সে দুঃসাহস দেখায়, তাহলে সে আল্লাহ্র নিরঙ্কুশ অধিকারকে কেড়ে নিতে চায়, আল্লাহর চিরন্তন নীতি বিরোধী কর্ম বাস্তবায়ন করতে চায়, নির্ভেজাল তাওহীদকে ভুলূণ্ঠিত করতে চায় এবং তাদের এ কাজকে যারা খুশি মনে গ্রহণ করে ও তদনুযায়ী অনুসরণ করে থাকে, তারা প্রকারন্তরে নিজেদেকে আল্লাহ্র আসনে বসাতে চায়। যা সুস্পষ্ট শিরক। আর শিরকের অপরাধ আল্লাহ কখনও ক্ষমা করেন না (সূরা আশ-শূরা : ২১; সূরা আন-নিসা : ৪৮; সূরা আল-মায়িদাহ : ৭২) এবং তার স্থান হবে জাহান্নাম (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৩; মিশকাত, হা/৩৮)।
আল্লাহর অনুমতি বা অধিকারকে তোয়াক্কা না করে মুশরিকরাও নিজেদেরকে হালাল-হারামের মালিক মনে করে নিয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহ তাদেরকে কঠোর হুঁশিয়ার করেছেন (সূরা ইউনুস : ৫৯; সূরা আনর-নাহল : ১১৬)। অতএব কোন বিষয়ে হালাল-হারাম নির্ধারণ ও ঘোষণার অধিকার একমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট।
প্রশ্নকারী : আইয়ূব আলী, সাতক্ষীরা।