উত্তর : কোন মুসলিম যখন আর্থিকভাবে এবং শারীরিকভাবে হজ্জ করতে সক্ষম হবে, তখনই তার উপর হজ্জ করা ফরয হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ্জ করা তার জন্য অবশ্য কর্তব্য’ (সূরা আলে ইমরান : ৯৭)। এখানে সামর্থ্য বলতে আর্থিক এবং শারীরিক উভয় সামর্থ্যকে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং ঋণ নিয়ে কোন ব্যক্তির জন্য হজ্জ আদায় করা ফরয নয়, বরং মুস্তাহাবও নয়। তবে ঋণ নিয়ে হজ্জ আদায় করলে হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। ইবনু উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যিনি ঋণী আছেন তার উপর হজ্জ আদায় করা ফরয নয়। সুতরাং যে ব্যক্তির ঋণ নেই তার নতুন করে ঋণ নিয়ে হজ্জ আদায় করা উচিত নয়। কারণ ঋণ করে হজ্জে গিয়ে ফিরে এসে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে কি না সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া হজ্জের সফরে সে মৃত্যুবরণও করতে পারে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ২১/৯৩ পৃ.)। ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। যদিও সেই ঋণ পরিশোধ করার জন্য তার সম্পদ রয়েছে, কিন্ত এমনও তো হতে পারে যে, তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিছগণ ঋণ পরিশোধে অবহেলা করছে। এমনটি হলে পরকালে সে কঠিন বিপদের সম্মুখীন হবে। তাই তার জন্য উচিত হবে, পাওনা টাকা নিজের হস্তগত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং ঋণ নিয়ে হজ্জ না করা।
প্রশ্নকারী : যাকারিয়া, কুমিল্লা।