সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
উত্তর : ওয়াহ্হাবী শব্দটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এটি কোন নতুন মাযহাব নয়। প্রচলিত চার মাযহাবের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। হানাফী, মালেকী, শাফেঈ ও হাম্বলী মাযহাবের মত কেউ ওয়াহহাবী বলে পরিচয় দেয় না। অথচ বিধর্মীরা ও বিদ‘আতীরা সালাফী মানহাজের অনুসারী আহলেহাদীছদের ‘ওয়াহহাবী’ নামে আখ্যায়িত করে অপপ্রচার চালায়।

রাসূল (ﷺ)-এর দাওয়াতী ও তাবলিগী কর্মপদ্ধতি ও কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ)-এর দাওয়াতী ও তাবলীগী কর্মপদ্ধতি ও কর্মক্ষেত্রের বৃহৎ অংশই সামঞ্জস্যপূর্ণ। উছমানীয় সাম্রাজ্যের প্রভাবে সর্বাধিক পবিত্র নগরী খোদ মাক্কা-মাদীনাতেও ক্ববর, মাযার ও স্মৃতি সৌধের মত শিরকের বিস্তার হয়। তখনই মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন। হাদীছের ভাষ্য অনুযায়ী ১২০০ হিজরী শতক বা ১৭০০ খ্রিষ্টীয় শতকের সংস্কারক ছিলেন শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ)। যখন সঊদী আরবের মুসলিমরা জাহিলিয়্যাতের যুগের ন্যায় পুনরায় শিরকের গভীর গহীনে হাবুডুবু খাচ্ছিল। ঠিক তখনই শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ) আরবের বুক থেকে শিরক ও বিদ‘আতকে উৎখাত করে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর বিধান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন এবং এই সংগ্রামে সফল হন।

এরপর থেকেই মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব নামটি মাযার পূজারী, কবর পূজারী, শিরককারী ও বিদ‘আতীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে, যখনই কেউ কবর, মাযার বা বিদ‘আতের প্রতিবাদ করে, তখন তাঁকে ওয়াহহাবী, নবীর দুশমন ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

বর্তমানেও মাযার পূজারী, পীর পূজারী ও বিদ‘আতীরা সাধারণ মানুষের অন্তরে ঘৃণা তৈরি করার জন্য আহলেহাদীছদের নামে বিভিন্ন প্রকারের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ‘ওয়াহহাবী’ নামকরণটি এ আন্দোলনের উদ্যোক্তা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব বা তাঁর অনুগামীদের প্রবর্তিত নয়। পরবর্তী ঐতিহাসিকরা বিদ্বেষবশতঃ এ আন্দোলনকে এই নামে পরিচিত করে তুলেছে। এটা মূলত এ আন্দোলনের বিরোধীদের পক্ষ থেকে গালি স্বরূপ ব্যবহার করা হয়। হাসান ইবনু আব্দুল্লাহ আলে শায়খ এ সম্পর্কে বলেন, ‘ওয়াহহাবিয়্যাহ বিশেষণটি এ আন্দোলনের অনুগামীরা সৃষ্টি করেনি। বরং তাদের বিরুদ্ধবাদীরা তাদেরকে পৃথক করার জন্য এটা ব্যবহার করে যেন মানুষ তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকে এবং শ্রোতারা মনে করে যে, এ আন্দোলন প্রচলিত বড় বড় চারটি মাযহাবের বিপরীতে পঞ্চম একটি মাযহাব নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এ আন্দোলনের কর্মীরা নিজেদেরকে ‘সালাফী’ এবং তাদের দাওয়াতকে ‘সালাফী দাওয়াত’ বলে আখ্যায়িত করাকেই অধিক পসন্দ করতেন (আল-ওয়াহহাবিয়াহ ওয়া যাঈমুহা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব, ৮/৮২১ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : উমর ফারুক, লন্ডন।





প্রশ্ন (১৩) : জনৈক ব্যক্তির একটি স্কুল আছে, সেখানে ছাত্র-ছাত্রীর জন্য নির্দিষ্ট একটি প্রকাশনীর বই নির্বাচন করায় প্রকাশনী হতে কিছু টাকা দেয়। উক্ত টাকা নেয়া জায়েয হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬): একজন মুসলিমের জন্য কি কাফের মহিলাদের কাছে প্যান্টি এবং অন্তর্বাস বিক্রি করা জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : সমাজে শরী‘আতের নামে একটি কথা চালু আছে যে, মুহাররমের ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত ছিয়াম পালন করলে ৫০ বছরের নফল ছিয়ামের নেকী লেখা হয়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : আমার নিকটাত্মীয় একজনকে অভিশাপ দিয়ে ফেলেছে। আমি জানি যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে তিনি তার উপযুক্ত না। আমি তাকে অনেক বুঝিয়ে কনভিন্স করেছি। সে অনুতপ্ত। এখন আমি তাকে কী আমল করতে বলব যাতে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : হারাম মাসসমূহে শিকার করা কি হারাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : ‘আপনাকে প্রেরণের উদ্দেশ্য না হলে আমি বিশ্বমণ্ডল সৃষ্টি করতাম না’ মর্মে প্রচলিত বর্ণনাট কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : জনৈক আলেম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমু‘আর দিন তার মাতা-পিতা অথবা তাদের মধ্যে কোন একজনের কবর যিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহারকারী বলে লেখা হবে’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৯০১)। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : এক সফরে একাধিক ওমরাহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : মেয়েরা লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : আমরা আলেমদের নিকট থেকে শুনেছি যে, আল্লাহর গুণবাচক নাম রাখলে নামের পূর্বে ‘আব্দ’ যোগ করতে। যেমন আব্দুর রহমান। কিন্তু ‘মালেক’-এর পূর্বে কি ‘আব্দ যোগ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : পীর ছাড়া না-কি আল্লাহর দেখা পাওয়া যাবে না। জীবনে একবার হলেও না-কি পীরের কাছে যেতে হবে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯): ‘আহাদ’ কি আল্লাহর নাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ