বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
উত্তর : ওয়াহ্হাবী শব্দটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এটি কোন নতুন মাযহাব নয়। প্রচলিত চার মাযহাবের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। হানাফী, মালেকী, শাফেঈ ও হাম্বলী মাযহাবের মত কেউ ওয়াহহাবী বলে পরিচয় দেয় না। অথচ বিধর্মীরা ও বিদ‘আতীরা সালাফী মানহাজের অনুসারী আহলেহাদীছদের ‘ওয়াহহাবী’ নামে আখ্যায়িত করে অপপ্রচার চালায়।

রাসূল (ﷺ)-এর দাওয়াতী ও তাবলিগী কর্মপদ্ধতি ও কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ)-এর দাওয়াতী ও তাবলীগী কর্মপদ্ধতি ও কর্মক্ষেত্রের বৃহৎ অংশই সামঞ্জস্যপূর্ণ। উছমানীয় সাম্রাজ্যের প্রভাবে সর্বাধিক পবিত্র নগরী খোদ মাক্কা-মাদীনাতেও ক্ববর, মাযার ও স্মৃতি সৌধের মত শিরকের বিস্তার হয়। তখনই মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন। হাদীছের ভাষ্য অনুযায়ী ১২০০ হিজরী শতক বা ১৭০০ খ্রিষ্টীয় শতকের সংস্কারক ছিলেন শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ)। যখন সঊদী আরবের মুসলিমরা জাহিলিয়্যাতের যুগের ন্যায় পুনরায় শিরকের গভীর গহীনে হাবুডুবু খাচ্ছিল। ঠিক তখনই শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ) আরবের বুক থেকে শিরক ও বিদ‘আতকে উৎখাত করে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর বিধান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন এবং এই সংগ্রামে সফল হন।

এরপর থেকেই মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব নামটি মাযার পূজারী, কবর পূজারী, শিরককারী ও বিদ‘আতীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে, যখনই কেউ কবর, মাযার বা বিদ‘আতের প্রতিবাদ করে, তখন তাঁকে ওয়াহহাবী, নবীর দুশমন ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

বর্তমানেও মাযার পূজারী, পীর পূজারী ও বিদ‘আতীরা সাধারণ মানুষের অন্তরে ঘৃণা তৈরি করার জন্য আহলেহাদীছদের নামে বিভিন্ন প্রকারের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ‘ওয়াহহাবী’ নামকরণটি এ আন্দোলনের উদ্যোক্তা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব বা তাঁর অনুগামীদের প্রবর্তিত নয়। পরবর্তী ঐতিহাসিকরা বিদ্বেষবশতঃ এ আন্দোলনকে এই নামে পরিচিত করে তুলেছে। এটা মূলত এ আন্দোলনের বিরোধীদের পক্ষ থেকে গালি স্বরূপ ব্যবহার করা হয়। হাসান ইবনু আব্দুল্লাহ আলে শায়খ এ সম্পর্কে বলেন, ‘ওয়াহহাবিয়্যাহ বিশেষণটি এ আন্দোলনের অনুগামীরা সৃষ্টি করেনি। বরং তাদের বিরুদ্ধবাদীরা তাদেরকে পৃথক করার জন্য এটা ব্যবহার করে যেন মানুষ তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকে এবং শ্রোতারা মনে করে যে, এ আন্দোলন প্রচলিত বড় বড় চারটি মাযহাবের বিপরীতে পঞ্চম একটি মাযহাব নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এ আন্দোলনের কর্মীরা নিজেদেরকে ‘সালাফী’ এবং তাদের দাওয়াতকে ‘সালাফী দাওয়াত’ বলে আখ্যায়িত করাকেই অধিক পসন্দ করতেন (আল-ওয়াহহাবিয়াহ ওয়া যাঈমুহা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব, ৮/৮২১ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : উমর ফারুক, লন্ডন।





প্রশ্ন (২১) : মেরু অঞ্চলের শীত প্রধান দেশে কিভাবে ছালাতের সময় নির্ধারণ করব? যেমন ফিনল্যান্ডে সূর্য ডুবে রাত ১২ টার পরে। আবার সূর্য উঠে ২টার দিকে। আসলে এখানে সূর্যই ডুবে না। এক্ষেত্রে ছালাত, ছিয়াম, ইফতার ইত্যাদির সময় কিভাবে নির্ধারণ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : স্ত্রী সুস্থ থাকার পরও সহবাস করতে না চাইলে জোর করে সহবাস করলে কী তার উপর যুলম হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : প্রচলিত আছে যে, সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহণ উপলক্ষে জন্মের সপ্তম দিন অথবা অন্য কোন দিনে গ্রামের মানুষ ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে খাবার অনুষ্ঠান করা যায়। যাকে ‘সাথলা’ নামকরণ করা হয়। প্রশ্ন হল, উক্ত অনুষ্ঠান করা এবং তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : (أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ) তথা ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা‘বূদ নেই’ (وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًّا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ) ‘এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল’। এর প্রকৃত অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : সূদী ব্যাংকে চাকুরী করে সেই টাকা দিয়ে ইফতারী খাওয়ানো এবং কাউকে গিফট দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : ফিতরার পরিমাণ কতটুকু? অর্ধ ছা‘ ফিতরা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর লাইভ আযানের উত্তর দিলে তার ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২): পিতা যদি ভুলের উপর থাকেন এবং ছেলে সঠিক হয় তাহলে সন্তানের বিরুদ্ধে পিতার বদদু‘আ কবুল হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : জামা‘আতের ছালাতে ইমাম সাহেব জোরে তাকবীর বলা এবং মুক্তাদির নিঃশব্দে তাকবীর বলার দলীল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : কুরআনুল কারীমের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠাগুলোতে নারীদের কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত করা হয়। উক্ত নারীকণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত শুনা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : বাড়ির চাকর থেকে কি পর্দা করতে হবে? কেউ কেউ বলে, মাথায় কাপড় থাকলে সমস্যা নেই। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’-এটি কি ছহীহ হাদীছ? দলীল জানালে উপকৃত হব। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ