বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
উত্তর : আইয়ামে বীযের ছিয়ামকে ‘ছিয়ামুল বীয’ও বলা হয়, যা নফল ছিয়ামের মধ্যে অন্যতম সুপ্রসিদ্ধ ছিয়াম। এটি একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। এই ছিয়াম প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখতে হয়। ‘বীয’ শব্দটির অর্থ হল ‘সাদা’। ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পূর্ণ চাঁদের আলোতে প্রায় সম্পূর্ণ রাত্রি আলোকিত থাকে। আর দিনে তো সূর্যের আলো আছেই। তাই এই দিনের ছিয়ামকে ‘ছিয়ামুল বীয’ বলা হয়। এই ছিয়াম রাখলে সারা বছর নফল ছিয়াম পালনের সমান নেকী পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘প্রতি চান্দ্র মাসে তিনটি করে ছিয়াম, সারা বছর ধরে ছিয়াম পালনের সমান’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৭৯; মিশকাত, হা/২০৫৪; ছহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০২৯)। অন্যত্র আবুদ্দারদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘আমার দোস্ত রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তিনটি বিষয়ে অছিয়ত করে গেছেন, যা আমি জীবনে কখনো ছাড়িনি। তার একটি হল মাসে তিনটি করে নফল ছিয়াম পালন করা’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৭২২; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০২৮)। আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনদিন ছিয়াম রাখল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম রাখল। আল্লাহ‌ তা‘আলা তাঁর কিতাবে এর সমর্থনে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন ‘কেউ কোন সৎকাজ করলে, সে তার দশ গুণ পাবে’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৬০)। অর্থাৎ فَالْيَوْمُ بِعَشْرَةِ أَيَّامٍ ‘প্রতিটি দিন দশ দিনের সমান’ (ইবনু মাজাহ, হা/১৭০৮, সনদ ছহীহ)।

প্রশ্নকারী : আবুল কাসিম, দিনাজপুর।




প্রশ্ন (৩০) : তারাবীহর ছালাতে এক ব্যক্তি দু’বার দুই জায়গায় ইমামতি করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : জনৈক আলেম বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির এক হাযার বছর পূর্বে সূরা ‘ত্বা-হা’ ও ‘ইয়াসীন’ পাঠ করলেন। তখন ফেরেশতারা শুনে বললেন, ধন্য সেই জাতি, যাদের উপর এটা নাযিল হবে, ধন্য সেই পেট যে সেটা ধারণ করবে এবং ধন্য সেই মুখ যে সেটা উচ্চারণ করবে’। তাঁর উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : হাত তুলে দু‘আর শুরুতে হামদ ও দরূদ পাঠ করার কথা হাদীছে আছে। এক্ষণে কী বাক্য দ্বারা হামদ ও দরূদ পাঠ করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছুটে যাওয়া বিতর ছালাত সূর্য উঠার পর বা দিনের বেলায় পড়লে কিভাবে পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ফী নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা বৈধ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : মসজিদের সামনে কবর আছে এবং কবর ও মসজিদের মাঝে কোন প্রাচীর নেই। এখন করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫১) : নির্দিষ্ট করে রামাযান মাসে বা ঈদের দিনে কিংবা অন্য কোন দিনে কবর যিয়ারত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : রাসূল (ﷺ)-এর কবরে যাওয়া ও যিয়ারত করা হজ্জের অংশ মনে করলে কি বিদ‘আত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : ফিতরা ও কুরবানীর অর্থ থেকে ইমাম-মুওয়াযযিনের বেতন দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : যাদের ঈমান নেই তারাতো চিরকাল জাহান্নামে থাকবে আবার যারা জান্নাতে থাকবে তারাও চিরকাল থাকবে। জাহান্নামের শাস্তিতো অসহনীয় তাহলে জাহান্নামিরা এই শাস্তি অনন্তকাল কীভাবে ভোগ করবে? আল্লাহতো চিরস্থায়ী সত্তা তাহলে জান্নাত-জাহান্নামও চিরস্থায়ী হলে আল্লাহর বিশেষত্ব কোথায়? না-কি এমন হতে পারে অনেক দীর্ঘকাল পরে জান্নাত-জাহান্নামও ধ্বংস হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : ‘তোমরা হজ্জ কর, কারণ হজ্জ গুনাহকে ধুয়ে ফেলে যেরূপ পানি ময়লা ধুয়ে ফেলে’ (ত্বাবারাণী-আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, হা/৪৯৯৭)। বর্ণনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ