শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
উত্তর : শরী‘আতের মূলনীতি হল- لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ ‘কোন মুসলিমের সম্পদ তার সন্তুষ্টি ছাড়া হালাল নয়’ (ছহীহুল জামে, হা/৭৬৬২, সনদ ছহীহ)। এ মূলনীতির আলোকে পাইরেটেড বা ক্র্যাক করা সফটওয়্যার ব্যবহারের বিধান বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক হয়:
১. চুক্তি ও অধিকারের লঙ্ঘন: বাণিজ্যিক সফটওয়্যারগুলোর ক্ষেত্রে নির্মাতা কোম্পানি সাধারণত ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট লাইসেন্স বা চুক্তির আওতায় সফটওয়্যার ব্যবহারের অনুমতি দেয়। পাইরেটেড বা ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ঐ চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়, যা প্রতারণা ও অন্যের অধিকার হরণ করার শামিল। ইসলাম অন্যের অধিকার লঙ্ঘনকে হারাম করেছে।

২. হাক্কুল ইবাদ বা মানুষের অধিকারের বিষয়: পাইরেটেড সফটওয়্যার সাধারণত সফটওয়্যার কোম্পানির মালিকানা হয় এবং এটি তাদের মেহনত ও বিনিয়োগের ফল। ইসলামে মানুষের মালিকানাধীন সম্পদ অন্যের জন্য হালাল নয়, যদি না মালিক স্বেচ্ছায় তা দান বা হেবা করে দেয়। যেহেতু সফটওয়্যার নির্মাতারা তাদের পণ্যের বিনিময়ে মূল্য নির্ধারণ করেছেন, তাই বিনা অনুমতিতে তা ব্যবহার করা তাদের হক লঙ্ঘনের শামিল।

৩. হারাম উপায়ে সম্পদ উপার্জন: যারা পাইরেটেড সফটওয়্যার বিক্রি করে, তারা মূলত অন্যের মালের উপর অন্যায়ভাবে হাত দিচ্ছে এবং তা দিয়ে ব্যবসা করছে। ইসলামে হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত সম্পদ গ্রহণ ও উপার্জন করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, كلُّ جَسَدٍ نبتَ مِنْ سُحْتٍ فالنارُ أولَى بِهِ ‘যে গোশত হারাম উপার্জন থেকে গঠিত হয়েছে, তার জন্য জান্নাত উপযুক্ত নয়’ (ছহীহুল জামে‘, হা/৪৫১৯, সনদ ছহীহ)।

৪. আইনি এবং সামাজিক পরিণতি: কিছু দেশে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারে আইনগত শাস্তি রয়েছে, যা একজন মুসলিমের জন্য দুর্নাম ও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি এটি সফটওয়্যার নির্মাতাদের ক্ষতির কারণ হয়, যা নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নিন্দনীয়। তবে যদি সফটওয়্যার নির্মাতা অনুমতি দেয় অর্থাৎ কিছু সফটওয়্যার নির্মাতা ব্যক্তিগত বা শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যদি তারা স্পষ্টভাবে অনুমতি দিয়ে থাকে, তবে তা ব্যবহার করা বৈধ হবে।


প্রশ্নকারী: তাহসিন আল-মাহী, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৭) : রাসূল (ﷺ) কখনো কি একাই ফরয ছালাতের পর মুনাজাত করেছেন?       - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : মাছ মরে পানির উপরে ভেসে উঠলে তা খাওয়া বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ছিয়াম রাখতে অক্ষম ব্যক্তি কি একজন মিসকীনকে ত্রিশদিন খাওয়াবেন, না-কি ত্রিশজন মিসকীনকে একদিন খাওয়াবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : আহলেহাদীছদের বাহ্যিক নিদর্শনগুলো কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : আমি কোন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা নিব ব্যবসার জন্য। ব্যবসার শর্ত অনুযায়ী সে লাভ বা ক্ষতি মেনে নিবে। আমি সেই টাকা দিয়ে বিদেশ যাব চাকরি করতে। বিদেশে গিয়ে চাকুরী করে যদি বেতন উঠাতে পারি, তখন ব্যবসায়িক লাভ হিসাবে তার টাকার অনুপাতে তাকে পারসেন্ট দিব। যতদিন পর্যন্ত তার টাকা ফিরিয়ে না দিব ততদিন তার পারসেন্ট সক্রিয় থাকবে। আর যদি বিদেশ গিয়ে কোন কারণে চাকুরী কনফার্ম না হয় কিংবা যদি যেকোন ধরনের প্রতারণার স্বীকার হয়ে বিদেশ যাওয়া না হয়, অথবা অন্য কোন কারণে যদি বিদেশ যাওয়া না হয় যেমনঃ ভিসা রিজেক্ট, মেডিকেল আনফিট তাহলে যে টাকা ক্ষতি হবে তার ভার সে বহন করবে তার টাকার অনুপাতে। উক্ত চুক্তিটি কি বাইয়ে মুশারাকা বা মুযারাবা হিসাবে গণ্য হবে, না-কি সূদী কারবার হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে-মেয়েদের সহশিক্ষা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : প্রতারণা করে টাকা নিয়ে ঐ টাকা গরীব অসহায় মানুষকে দান করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : হারাম পন্থায় উপার্জিত টাকা দিয়ে যদি কাউকে খাদ্য খাওয়ার দাওয়াত দেয় অথবা কোন উপঢৌকন দেয়, তাহলে তা গ্রহণ করা বৈধ হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : সূরা ইয়াসীন ও ত্বা-হা পাঠের ফযীলত বর্ণনায় বলা হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির এক হাযার বছর পূর্বে সূরা ‘ত্বা-হা’ ও ‘ইয়াসীন’ পাঠ করলেন। তখন ফেরেশতারা শুনে বললেন, ধন্য সেই জাতি, যাদের উপর এটা নাযিল হবে, ধন্য সেই পেট যে সেটা ধারণ করবে এবং ধন্য সেই মুখ যে সেটা উচ্চারণ করবে (দারেমী, হা/৩৪১৪; মিশকাত, হা/২১৪৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/২০৪৫, ৫/১৮ পৃ.)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : মানব সৃষ্টির ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে অনেকেই বলে থাকেন, আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার পূর্বে জিন জাতিকে সমূলে ধ্বংস করেছেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : লোকমুখে শুনা যায়, একজন ছাহাবীর মাত্র একটি দাড়ি ছিল, একদা তা দেখে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসলেন। ফলে ঐ ছাহাবী দাড়িটি কেটে ফেললেন। পরে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখে বললেন, তুমি দাড়িটি কেটে ফেললে কেন? তোমার দাড়িতে অনেক ফেরেশতা ঝুলছিল। উক্ত হাদীছ কোন্ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : সূরা আল-ফাতিহা না পড়লে ছালাত হয় না, তবে রুকূ‘ পেলে কেন রাক‘আত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ