উত্তর : মুক্তাদী ইমামের পিছনে সূরা আল-ফাতিহা না পড়লে ছালাত হয় না যা বিশুদ্ধ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। তবে রুকূ‘ পেলে রাক‘আত হবে যখন মুছল্লী মাসবূক হয়ে রুকূ‘ অবস্থায় জামা‘আতে শরীক হবে। এমতাবস্তায় তার এই রুকূ‘ রাকা‘আত হিসাবে গণ্য হবে। তাকে ঐ রাক‘আত আবার পুনরায় পড়তে হবে না । এর প্রমাণ আবূ বকর আছ-ছাকাফী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এ ঘটনায় পাওয়া যায়। আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এমতাবস্থায় পৌঁছালেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন রুকূ‘তে ছিলেন। তখন কাতার পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বেই তিনি রুকূ‘তে চলে যান। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ব্যক্ত করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ তোমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিন। তবে এ রকম আর করবে না (ছহীহ বুখারী, হা/৭৮৩)।
শায়খ ইবনু উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, মাসবুক যখন ইমামের রুকূ‘র সাথে রুকূ‘ করে তখন তার রুকূ‘ রাক‘আত হিসাবে গণ্য হবে সূরা আল-ফাতিহা না পড়া সত্ত্বেও। এটাই জমহূর এর মতামত এবং এটাই প্রাধান্যযোগ্য মত ইনশাআল্লাহ। কেননা আবূ বকর ছাকাফীর হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উক্ত কর্মের জন্য তাকে বলেছেন আল্লাহ তোমার আগ্রহ বাড়িয়ে দিক (জামা‘আতে ছালাত আদয়ের আগ্রহ)। উক্ত ঘটনায় লক্ষনীয় বিষয় হল, যদি মাসবূক ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে রুকূ‘ পাওয়া রাক‘আত বলে গণ্য না হত তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবূ বাকরা কে ঐ রাক‘আতটি পুনরায় আদায় করার নির্দেশ দিতেন, যে রাক‘আতে তিনি সূরা আল-ফাতিহা পড়েননি। অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে নির্দেশ দিয়েছেন মর্মে কোন কিছু বর্ণিত হয়নি। অতএব প্রমাণিত হল যে, রুকূ‘ পেলে রাকা‘আত হয় (ছালিহ আল-উছায়মীন, শারহুল মুমতি‘, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১২৩)।
প্রশ্নকারী : ইউনুস, নাটোর।