উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা যেদিন কলম সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মাখলূক্ব সৃষ্টি হবে, তার সবই লাওহে মাহফূযে লিপিবদ্ধ আছে। আল্লাহ তা‘আলা কলম সৃষ্টি করে বললেন, লেখ। কলম বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি কী লিখব? আল্লাহ তা‘আলা বললেন, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে সবই লিখে ফেল। সে সময় ক্বিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু পৃথিবীর বুকে সংঘটিত হবে, কলম সব কিছুই লিখে ফেলল (মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭৫৭, সনদ হাসান)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘ভ্রুণ মাতৃগর্ভে চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। ফেরেশতা তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেন এবং লিখে দেন তার রিযিক্ব, বয়স, আমল ও তিনি সৌভাগ্যবান, না-কি দুর্ভাগা’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭৪৫৪; ইবনু মাজাহ, হা/৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৬২৪)। এমনকি রিযিক অন্বেষণের সাথে সাথে রিযিক্ব অন্বেষণের উপকরণও লিপিবদ্ধ আছে। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে সুগম করেছেন। অতএব তোমরা তাতে বিচরণ কর এবং তার দেয়া রিযিক আহার কর। তাঁরই কাছে পুনরুজ্জীবন হবে’ (সূরা আল-মুলক : ১৫)।
উল্লেখ্য যে, রিযিক পাওয়া এবং তা বৃদ্ধি হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হল, তাক্বওয়া অবলম্বন করা (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ২-৩) এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৮৬; মিশকাত, হা/৪৯১৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৪৭০১, ৯/১১৪-১১৫ পৃ.)। তবে রিযিক নির্ধারিত থাকায় তার উপকরণ অনুসন্ধান করা যাবে না এ কথা ঠিক নয়। বরং রিযিক অন্বেষণ করতে হবে। আর রিযিক যেভাবে লিপিবদ্ধ আছে, বিবাহ করাও সেভাবে নির্ধারিত আছে। এই পৃথিবীতে কে কার স্বামী বা স্ত্রী হবে, তাও নির্দিষ্ট রয়েছে। কেননা আসমান-যমীনের কোন কিছুই আল্লাহর কাছে গোপন নয় (ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন-৬৩, পৃ. ১২৫-১২৬)।