উত্তর: প্রথমতঃ এ সম্পর্কে কোন তথ্য বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত নয়। কেউ কেউ বলছেন যে, তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বে ৭০ জন কন্যাকে জীবন্ত প্রোথিত করেছিলেন! আদতে এগুলো সব ভিত্তিহীন।
দ্বিতীয়তঃ হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) ও শাইখ মুহাম্মাদ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘দাহিয়া কালবী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এবং উমার ফারুক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সম্পর্কে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, জাহিলিয়্যাতের যুগে তারা তাদের কন্যাকে জীবন্ত ক্ববর দিয়েছিলেন। আসলে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না’ (আল-ইছাবাহ লি ইবনি হাজার, ৭/৫৮২; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩২৪৩৭)।
প্রকৃতপক্ষে সূরা আত-তাকভীর -এর ৮ ও ৯ নং আয়াতকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে, সেটি হল- ক্বায়িস ইবনু আছিম আত-তামিমী (রাহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে। উমার ফারুক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আয়াত দু’টি অবতীর্ণ হওয়ার পর ক্বায়িস ইবনু আছিম রাসূল (ﷺ)-এর কাছে এসে বললেন, ‘জাহিলিয়্যাতের যুগে আমি আমার ৮টি কন্যাকে জীবন্ত সমাধিস্থ করেছি। আমার প্রায়শ্চিত্ত কী করে হবে? রাসূল (ﷺ) বললেন, প্রত্যেক কন্যার বদলে একটি করে উঠ কুরবানী কর (বাযযার, হা/২৩৮, ১/৬০ পৃ.; মু‘জামুল কাবীর, হা/৮৬৩, ১৮/৩৩৭; বাইহাক্বী সুনানুল কুবরা, হা/১৬৮৬১, ৮/১১৬ পৃ.; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩২৯৮)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল গফুর, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট।