বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন
উত্তর : হজ্জ সফরে গিয়ে একাধিক ওমরা করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। তামাত্তু হজ্জ সম্পাদনকারী ব্যক্তি শুরুতে ওমরা করবেন এবং হালাল হয়ে যাবেন। এরপর প্রয়োজনে জেদ্দা, ত্বায়েফ, মদীনা বা অন্য কোন শহরেও যেতে পারেন। মক্কায় ফেরার পথে তাকে আর ইহরাম বাঁধতে হবে না। মীক্বাত অতিক্রম করলেও কোন সমস্যা নেই। মক্কায় পৌঁছে নিজের অবস্থান থেকে হজ্জের ইহরাম বেঁধে মিনায় যাবেন (ফাতাওয়া উছায়মীন, ২১/৩৪৪ পৃ.)। শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে এ মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 

لَا يَلْزَمُهُ الْإِحْرَامُ، فَإِذَا أَدَّى الْمُتَمَتِّعُ الْعُمْرَةَ وَخَرَجَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الطَّائِفِ، أَوْ إِلَى جِدَّةَ، أَوْ إِلَى الْمَدِيْنَةِ، ثُمَّ رَجَعَ، فَإِنَّهُ لَا يَلْزَمُهُ الْإِحْرَامُ بِالْحَجِّ لِأَنَّهُ رَجَعَ إِلَى مَقَرِّهِ، فَإِنَّهُ لَمَّا جَاءَ حَاجًّا صَارَ مَقَرُّهُ مَكَّةَ، فَإِذَا سَافَرَ إِلَى الْمَدِيْنَةِ ثُمَّ رَجَعَ فَقَدْ رَجَعَ إِلَى مَقَرِّهِ؛ فَيُحْرِمُ بِالْحَجِّ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ مِنْ مَكَّةَ

‘তার উপর ইহরাম ওয়াজিব হবে না। যে তামাত্তু হজ্জ করার ইচ্ছা করে ওমরা সম্পাদন করবে এবং মক্কা থেকে ত্বায়েফ, জেদ্দা কিংবা মদীনায় যাবে অতঃপর ফিরে আসবে তার জন্য হজ্জের ইহরাম বাঁধা ওয়াজিব নয়। কারণ তিনি নিজের অবস্থানে ফিরে আসছেন। যখন তিনি হজ্জের জন্য এসেছেন, তখন মক্কা তার অবস্থান করার জায়গা হয়ে গেছে। তিনি যখন মদীনায় সফর করে ফিরে আসবেন তখন তিনি তার অবস্থানের জায়গায় ফিরে আসবেন। অতঃপর ৮ তারিখে মক্কায় তার অবস্থান থেকে হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধবেন’ (ফাতাওয়া উছায়মীন, ২২/৭৮ পৃ.)। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, 

وَأَمَّا مَنْ جَاءَ لِلْحَجِّ وَأَدَّى الْعُمْرَةَ ثُمَّ بَقِيَ فِيْ جِدَّةَ أَوِ الطَّائِفِ وَهُوَ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهِمَا ثُمَّ أَحْرَمَ بِالْحَجِّ فَهَذَا مُتَمَتِّعٌ فَخُرُوْجُهُ إِلَى الطَّائِفِ أَوْ جِدَّةَ أَوِ الْمَدِيْنَةِ لَا يُخْرِجُهُ عَنْ كَوْنِهِ مُتَمَتِّعًا؛ لِأَنَّهُ جَاءَ لِأَدَائِهِمَا جَمِيْعًا وَإِنَّمَا سَافَرَ إِلَى جِدَّةَ أَوِ الطَّائِفِ لِحَاجَةٍ ، وَكَذَا مَنْ سَافَرَ إِلَى الْمَدِيْنَةِ لِلزِّيَارَةِ كُلُّ ذَلِكَ لَا يُخْرِجُهُ عَنْ كَوْنِهِ مُتَمَتِّعًا فِي الْأَظْهُرِ

‘যে ব্যক্তি হজ্জ করার জন্য আসবে এবং ওমরা আদায় করবে অতঃপর জেদ্দা বা ত্বায়েফ অবস্থান করবে কিন্তু তারা সেখানকার বাসিন্দা নয় তারপর তিনি হজ্জের ইহরাম বাঁধবেন এটাই তামাত্তু হজ্জকারী। জেদ্দা বা ত্বায়েফ যাওয়ার কারণে তিনি তামাত্তু হজ্জকারীর হুকুম থেকে বেরিয়ে যাবেন না। কারণ তিনি হজ্জ ও ওমরা দুইটি এক সঙ্গে করার জন্য এসেছেন। তিনি জেদ্দা ও তায়েফ তার প্রয়োজনে সফর করেছে। অনুরূপ যে ব্যক্তি যিয়ারতের জন্য মদীনায় সফর করেছেন তার হুকুমও একই। মূলত কেউই তামাত্তু হজ্জকারীর হুকুম থেকে বেরিয়ে যাবে না (ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৭/৯৬ পৃ.)। শায়খ আলবানী বলেন, ‘হজ্জের পরের হল ঋতুবতী মহিলাদের ওমরা, যারা হায়েযের কারণে হজ্জের ওমরা করতে পারেনি। যেমন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ঋতুবতী হয়েছিলেন, যা তাঁর ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়। অনুরূপ অন্যান্য মহিলারাও যদি ওমরা করতে না পারে, তবে তারাও হজ্জের পর তানঈম থেকে ওমরা করতে পারবে। এটা শরী‘আত সম্মত। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ হাজী তারা বোকামি করে যে ওমরা করছে, একে আমরা শরী‘আত সম্মত মনে করি না। কারণ রাসূল (ﷺ)-এর অনেক ছাহাবী তাঁর সাথে হজ্জ করেছেন, কিন্তু কেউই হজ্জের পর ওমরা করেননি। বরং আমি মনে করি এটা মহিলাদের সাথে পুরুষদের সাদৃশ্য। মনে হচ্ছে মহিলাদের মত পুরুষদেরও হায়েয হচ্ছে’ (সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৯৮৪-এর আলোচনা দ্র.)।

অতএব যে সমস্ত মহিলা ঋতুবতী হওয়ার কারণে ওমরা করতে পারবে না, তারাই কেবল মাসজিদে আয়েশা বা তানঈম থেকে ইহরাম বেঁধে ক্বাযা ওমরা পূরণ করতে পারবে। এছাড়া অন্য কোন নারী-পুরুষ তানঈম থেকে ইহরাম বাঁধতে পারবে না। মক্কায় বসবাসকারীরাও তানঈম থেকে ওমরা করতে পারবে না। তাদেরকে মীক্বাত থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৫১৮)।

উল্লেখ্য যে, হজ্জ করতে গিয়ে বিনা প্রয়োজনে হারামের বাইরে গিয়ে ঘুরাঘুরি করা উচিত নয় (ইবনু কুদামা, আল-কাফী ফী ফিক্বহিল ইমাম আহমাদ, ১/৪৮০ পৃ.)। যেহেতু বায়তুল্লাহ দু‘আ কবুলের জায়গা, সেজন্য সেখানে অবস্থান করে বেশি বেশি নফল ছালাত আদায় করবে, কুরআন তেলাওয়াত করবে, দু‘আ করবে, যিকির-আযকার করবে সুযোগ পেলে ত্বাওয়াফ করবে (ফাতাওয়া উছায়মীন, ২২/২৬০ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : ইকবাল, আমেরিক প্রবাসী।





প্রশ্ন (৩৪) : পিরিয়ড হওয়ার দু’একদিন আগে থেকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এজন্য দাঁড়িয়ে, বসে এমনকি শুয়ে থাকলেও খুব যন্ত্রণা হয়। এজন্য ছালাত আদায় কর সম্ভব হয় না। এভাবে ছালাত ছেড়ে দিলে পাপ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পাখি পোষা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক ইমাম তাবীযের ব্যবসা করে, জর্দা খায়, মিথ্যা কথা বলে এবং কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ঈমান ও আমলকে ফিতনা মনে করে বিরোধিতা করে। উক্ত ইমাম দ্বিতীয় বিবাহের পর তন্ত্রমন্ত্র করে প্রথম স্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য হিন্দু গণকের কাছেও গিয়েছিল। এমন ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা কিংবা তার ইমামতির বৈধতা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : কোন কারণে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেলে এবং সিজারের মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ট হলে ঐ মহিলাদ্বয়ের ইদ্দতকাল কতদিন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : মানুষ বিপদে পতিত হলে হতাশা প্রকাশ করে চিন্তিত হয়ে পড়ে। অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশও করে। প্রশ্ন হল- বিপদে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলে তার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ছালাতে হাত বাঁধা সম্পর্কে সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ফাতাওয়া বোর্ড এবং শায়খ ইবনু বায, আলবানী, শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুমুল্লাহ) কী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন? নাভীর নিচে বাঁধতে বলেছেন, না-কি বুকের উপর? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : জনৈক ইমাম বলেন, যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্রে চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় করে দিবেন। আর তার জন্য জান্নাতে এক হাজার মনোরম বালাখানা তৈরি করা হবে (আশরাফ আলী থানবী, পূর্ণাঙ্গ নামাজ শিক্ষা, পৃঃ ৩০৯)। উক্ত মর্মে ছহীহ কোন বর্ণনা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জিন এবং মানুষের ইবাদতের পার্থক্য কী? জিন জাতির উপরও কি ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদতগুলো মানুষের মতই ফরয? তাদের ইবাদতের ধরণ কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কোন ইমাম যদি নবী গায়েব জানেন, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, নবী নূরের তৈরি, নবী জীবিত প্রভৃতি আক্বীদা পোষণ করে, তাহলে ঐ ব্যক্তির পিছনে ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯): জনৈক বক্তা বলেন যে, ‘জান্নাতে একটি কনফারেন্স হবে। সেই কনফারেন্সের সভাপতি হবেন স্বয়ং আল্লাহ। আর সেখানে উপস্থিত থাকবেন আমাদের নবী (ﷺ) ও নূহ (আলাইহিস সালাম)। আর পরিশেষে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন তেলাওয়াত করবেন’। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : সউদী আরবের স্থায়ী গবেষণা ও ফাতাওয়া বোর্ড মুনাজাতের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত দিয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : শুধু বেজোড় রাত্রিগুলোতে ই‘তিকাফ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ