উত্তর : জিনেরাও মানুষের ন্যায় ইবাদত করতে বাধ্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ ‘আমি জিন ও মানুষকে শুধু এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদত করবে’ (সূরা আয-যারিয়াত : ৫৬)। তবে তাদের ইবাদতের পদ্ধতি বা ধরন সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
জিনেরা শরী‘আতের কোন্ কোন্ বিধানের ব্যাপারে আদিষ্ট? এমন প্রশ্নের জবাবে শায়খ আবদুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইসলামের যে বিধি-বিধান আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে তা জিন জাতির কাছেও পৌঁছেছে। তবে শরী‘আত পালনে তাদের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানি না। ইসলামী শরী‘আতের মূলনীতি অনুযায়ী বলা যায়, ঈমান, ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ সহ ইসলামের মৌলিক বিধানের ব্যাপারে মানুষ ও জিন উভয় জাতি সমানভাবে আদিষ্ট। আল্লাহ তা‘আলা সূরা আর-রহমানের একাধিক আয়াতে فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ‘তোমরা দুই সম্প্রদায় তথা মানুষ ও জিন আল্লাহর কোন্ কোন্ নিদর্শন অস্বীকার করবে?’ বলে উভয় জাতিকে কোন বিভেদ ছাড়াই সম্বোধন করেছেন। যা দ্বারা বুঝা যায়, দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আর অমৌলিক বিষয়ে উভয় জাতির মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে তা আমাদের জানা নেই’ (https://bit.ly/2D5yFqc)।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কোন সন্দেহ নেই ‘তাসদীক’ (ঈমান) ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে তারা আদিষ্ট এবং ‘তাকযীব’ (কুফরি) ছাড়াও অন্যান্য বিষয় থেকে তাদের বারণ করা হয়েছে। মৌলিক ও অমৌলিক বিষয়ে তারা তাদের মত আদিষ্ট। যেহেতু তারা প্রকার-প্রকৃতিতে মানুষের মত নয়, তাই আদেশ-নিষেধ বা শাস্তি বিধানের ক্ষেত্রে তারা মানুষের মত নয়। হ্যাঁ, ইসলামের মৌলিক আদেশ-নিষেধ, হালাল-হারামের ক্ষেত্রে মুসলমানের মধ্যে কোন ব্যবধান আছে বলে আমি জানি না’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৩৩)।
প্রশ্নকারী : ফাতেহ, মিরপুর, ঢাকা।