বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
উত্তর : ফের্কাবন্দী (اَلْاِفْتِرَاقُ)-এর অর্থ যেকোন মতানৈক্য নয়; বরং বিশেষ বিভক্তিকে ‘ফের্কাবন্দী’ বলা হয়েছে। যে বিভক্তির কারণে উম্মত দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে যায় এবং তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হারিয়ে ফেলে, একদল আরেক দলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, সেটাই হচ্ছে ফের্কাবন্দী। অনুরূপভাবে এই বিভক্তি অন্তরের বিভক্তির দিকেও ইঙ্গিত করে, যার মাধ্যমে পারস্পরিক শত্রুতা ও রাগারাগির জন্ম হয় (শাত্বেবী, আল-ই’তিছাম, ২/৭০০-৭০১ পৃ.; বাকর আবু যায়েদ, হুকমুল ইনতিমা, পৃ. ১০১)। আব্দুল ক্বাহের ইবনু ত্বাহের আত-তামীমী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিন্দিত ফের্কা বলতে ফিক্বহী শাখা-প্রশাখাগত মাসআলা-মাসায়েলে মতভেদকারীদেরকে বুঝাননি, বরং নিন্দা দ্বারা উদ্দেশ্য তারাই, যারা তাওহীদের মূলনীতি, তাক্বদীরের ভাল-মন্দ, নবুওয়াত ও রিসালাতের শর্ত, ছাহাবায়ে কেরামের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখা ইত্যাদি ক্ষেত্রে হক্বপন্থীদের বিরুদ্ধাচরণ করে। কারণ এসব ক্ষেত্রে হক্বপন্থীদের বিরুদ্ধাচরণকারীরা পরস্পরকে কাফের হিসাবে আখ্যায়িত করে থাকে। কিন্তু প্রথম প্রকারের মতভেদকারীরা পরস্পরকে কাফের তো বলেই না, এমনকি বিভক্তিও সৃষ্টি করে না’ (দ্রষ্টব্য : তুহফাতুল আহওয়াযী, ১২/২২২ পৃ.)।

উম্মতের ফের্কাবন্দী বলতে কস্মিনকালেও ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন এবং মুজতাহিদ আলিমগণের ইজতিহাদপ্রসূত মতভেদকে বুঝানো হয়নি। অনুরূপভাবে এ ব্যাপারে ইজমা হয়েছে যে, শরী‘আতের ব্যবহারিক শাখা-প্রশাখাগত মাসআলা-মাসায়েলের মতপার্থক্যও ফের্কাবন্দীর আওতাভুক্ত নয় (শাত্বেবী, আল-ই’তিছাম, ২/৭০০-৭০১ পৃ.; তুহফাতুল আহওয়াযী, ৭/৩৩২ পৃ.)। বরং এই প্রকার মতভেদ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) যথার্থই বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে মতভেদ অবশ্যম্ভাবী একটি বিষয়। কেননা তাদের উদ্দেশ্য, বুঝ এবং অনুধাবন শক্তি এক নয়। তবে এ নিয়ে একজন আরেকজনের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিন্দনীয়’ (আছ-ছওয়া‘ইকুল মুরসালাহ ফির-রদ্দি আলাল-জাহমিইয়াহ, ২/৫১৯ পৃ.)। মূলত আক্বীদাগত বিভক্তির কারণে সৃষ্ট দলাদলিকে ফের্কাবন্দী বলা হয়।

প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, জয়পুরহাট।




প্রশ্ন (২৯) : মাখরাজ ছাড়া কুরআন পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ‘ফাজায়েলে দরূদ শরীফ’ নামক বইয়ের ৬৪ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ফ বলেছেন, আমার উপর দরূদ পাঠকারীর জন্য পুলসিরাতে নূর হবে। আর যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন ৮০ বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরে গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে’ মর্মে বর্ণিত কথা কি সত্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : তাবলীগ জামা‘আতের ‘ফাযায়েলে আমল’ বইয়ে বর্ণিত আছে যে, সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (রাহিমাহুল্লাহ) পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এশা ও ফজরের ছালাত একই ওযূ দ্বারা পড়েছেন (ঐ, (বাংলা), পৃ. ১৬০; (উর্দূ), পৃ. ৬৮)। উক্ত বিষয়টি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার উদ্দেশ্যে মুহরিম ব্যক্তির জন্য গোসল করা কি জায়েয? মুহরিমের জন্য ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : শাওয়াল মাসে ছয়টি ছিয়াম পালন করার বিধান ও তার ফযীলাত সম্পর্কে জানাতে চাই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ‘তাওহীদে আসমা ওয়াছ ছিফাত’ কাকে বলে এবং এর দাবি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : যে ব্যক্তির জানাযা হয়েছে তার গায়েবানা জানাযা পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : পিতা মারা যাবার পর কতদিন পর্যন্ত ভাইয়েরা বোনদের প্রাপ্য হক্ব ভোগ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিনে আমার উপর ৮০ বার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তার ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা করে দিবেন’ মর্মে প্রচলিত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : জামা‘আতে আমার কোন রাক‘আত ছুটে গেলে জামা‘আত শেষে সেটা পূরণ করব। সেক্ষেত্রে ইমাম যখন শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ, দরূদ এবং ছানা পড়বে, তখন আমি কি শুধু তাশাহ্হুদ পড়ে চুপ থাকব, না-কি আমিও দরূদ ও ছানা পড়ব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : অনেকে ব্যবসার স্বার্থে জাল-যঈফ হাদীছ ও মিথ্যা কাহিনী সম্বলিত বই-পুস্তক বিক্রি করে থাকে। এই ব্যবসা হালাল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : এক তাশাহ্হুদ বিশিষ্ট ছালাত তথা এক বা দুই রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের সময় কিভাবে বসতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ