শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ফের্কাবন্দী (اَلْاِفْتِرَاقُ)-এর অর্থ যেকোন মতানৈক্য নয়; বরং বিশেষ বিভক্তিকে ‘ফের্কাবন্দী’ বলা হয়েছে। যে বিভক্তির কারণে উম্মত দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে যায় এবং তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হারিয়ে ফেলে, একদল আরেক দলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, সেটাই হচ্ছে ফের্কাবন্দী। অনুরূপভাবে এই বিভক্তি অন্তরের বিভক্তির দিকেও ইঙ্গিত করে, যার মাধ্যমে পারস্পরিক শত্রুতা ও রাগারাগির জন্ম হয় (শাত্বেবী, আল-ই’তিছাম, ২/৭০০-৭০১ পৃ.; বাকর আবু যায়েদ, হুকমুল ইনতিমা, পৃ. ১০১)। আব্দুল ক্বাহের ইবনু ত্বাহের আত-তামীমী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিন্দিত ফের্কা বলতে ফিক্বহী শাখা-প্রশাখাগত মাসআলা-মাসায়েলে মতভেদকারীদেরকে বুঝাননি, বরং নিন্দা দ্বারা উদ্দেশ্য তারাই, যারা তাওহীদের মূলনীতি, তাক্বদীরের ভাল-মন্দ, নবুওয়াত ও রিসালাতের শর্ত, ছাহাবায়ে কেরামের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখা ইত্যাদি ক্ষেত্রে হক্বপন্থীদের বিরুদ্ধাচরণ করে। কারণ এসব ক্ষেত্রে হক্বপন্থীদের বিরুদ্ধাচরণকারীরা পরস্পরকে কাফের হিসাবে আখ্যায়িত করে থাকে। কিন্তু প্রথম প্রকারের মতভেদকারীরা পরস্পরকে কাফের তো বলেই না, এমনকি বিভক্তিও সৃষ্টি করে না’ (দ্রষ্টব্য : তুহফাতুল আহওয়াযী, ১২/২২২ পৃ.)।

উম্মতের ফের্কাবন্দী বলতে কস্মিনকালেও ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন এবং মুজতাহিদ আলিমগণের ইজতিহাদপ্রসূত মতভেদকে বুঝানো হয়নি। অনুরূপভাবে এ ব্যাপারে ইজমা হয়েছে যে, শরী‘আতের ব্যবহারিক শাখা-প্রশাখাগত মাসআলা-মাসায়েলের মতপার্থক্যও ফের্কাবন্দীর আওতাভুক্ত নয় (শাত্বেবী, আল-ই’তিছাম, ২/৭০০-৭০১ পৃ.; তুহফাতুল আহওয়াযী, ৭/৩৩২ পৃ.)। বরং এই প্রকার মতভেদ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) যথার্থই বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে মতভেদ অবশ্যম্ভাবী একটি বিষয়। কেননা তাদের উদ্দেশ্য, বুঝ এবং অনুধাবন শক্তি এক নয়। তবে এ নিয়ে একজন আরেকজনের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিন্দনীয়’ (আছ-ছওয়া‘ইকুল মুরসালাহ ফির-রদ্দি আলাল-জাহমিইয়াহ, ২/৫১৯ পৃ.)। মূলত আক্বীদাগত বিভক্তির কারণে সৃষ্ট দলাদলিকে ফের্কাবন্দী বলা হয়।

প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, জয়পুরহাট।




প্রশ্ন (২৮) : নিকটাত্মীয়দের উপস্থিত হওয়ার জন্য মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে দেরী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : টিউবওয়েল বা ট্যাপের নিচে পাত্রে পানি জমা করে সেই জমাকৃত পানি দিয়ে ওযূ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : গর্ভবতী মহিলার ২ বা ৩ মাসের বাচ্চা নষ্ট হলে তাকে কি ছালাত-ছিয়াম পালন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ফিতরার পরিমাণ হিসাবে কেউ বলছেন এক ছা‘ সমান আড়াই কেজি, কেউ পৌনে তিন কেজি, কেউ তিন কেজি বলছেন। আসলে এ বিষয়ে সঠিক সমাধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : অনেকেই বাড়িতে গৃহস্থালী কাজ (থালা-বাসন ধোঁয়া, ঝাড়– দেয়া, রান্না করা প্রভৃতি) করা অবস্থায় মোবাইল বা কোন ডিভাইসে কুরআন তিলাওয়াত শুনেন। এভাবে কাজ চলাকালীন অবস্থায় তিলাওয়াত শুনলে নেকি হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫১) : নির্দিষ্ট করে রামাযান মাসে বা ঈদের দিনে কিংবা অন্য কোন দিনে কবর যিয়ারত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ‘তোমরা হজ্জ ও উমরাহ পরপর একত্রে পালন কর। কেননা এ দু’টি (হজ্জ ও উমরাহ) দারিদ্র্য ও গুনাহসমূহ এমনভাবে দূর করে দেয় যেমন কামারের হাপর লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে দেয়। আর হজ্জে মাবরূরের বিনিময় জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : সম্মিলিত দু‘আ করে এমন মাযহাবী ইমামের পিছনে ছালাত শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : পিতা কতদিন পর্যন্ত সন্তানের খরচ বহন করতে বাধ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : সাধারণ মানুষ কিভাবে আওয়াল ওয়াক্ত নির্ধারণ করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : শুধু কুলি করে ও নাকে পানি দিয়ে সারা শরীরে পানি দিয়ে গোসল করলে কি ফরয গোসল আদায় হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ কিভাবে পড়ব? ইয়া আল্লাহ, ইয়া রহমান এভাবে, নাকি আল্লাহ, আর রহমান এভাবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ