উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের কিছু করণীয় রয়েছে। যেমন, (১) দু‘আ করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যখন কোন মানুষ ইন্তেকাল করে, তখন তার সমস্ত আমলের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল ব্যতীত। (ক) ছাদাকায়ে জারিয়া (খ) এমন ইলম, যদ্বারা অন্যরা উপকৃত হয় এবং (গ) সুসন্তান, যে তার পিতা-মাতার জন্য দু‘আ করবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৩১; আবূ দাঊদ, হা/২৮৮০; মিশকাত, হা/২০৩)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। তখন সে ব্যক্তি বলে, ‘প্রভু! এটা কী ব্যাপার?’ তখন তাকে বলা হয়, ‘তোমার সন্তান তোমার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করেছে’ (আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৩৬; সনদ হাসান)। তবে মীলাদ, চেহলাম, কুলখানি, চল্লিশা, শবিনা খতম, খানা, মৃত্যু বার্ষিকী প্রভৃতি নামে প্রচলিত অনুষ্ঠানগুলো ইসলামী শরী‘আতে কোন ভিত্তি নেই। (২) দান করা। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, ‘জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আমার মা হঠাৎ ইন্তেকাল করেছেন। আমার ধারণা হয় যে, যদি তিনি কথা বলতে পারতেন, তাহলে ছাদাক্বাহ করতেন। আমি কি তার পক্ষ হতে ছাদাক্বাহ করব? নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ তার পক্ষ থেকে ছাদাক্বাহ করতে পার’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৬০; ছহীহ মুসলিম, হা/১০০৪)। (৩) পিতা-মাতার বন্ধুদের সাথে সদ্ব্যবহার করা (আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৪১, ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৭-এর টীকা দ্রষ্টব্য, সনদ ছহীহ; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৬৭৯; সিলসিলা যঈফাহ, হা/২০৮৯-এর আলোচনা দ্রষ্টব) এবং (৪) ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করা (ছহীহ বুখারী, হা/২২৯৮, ৫৩৭১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬১৯)।
প্রশ্নকারী : মামুন বিন হাশমত, কুষ্টিয়া।