উত্তর : শিরকের পর সবচেয়ে জঘন্য ও ক্ষতিকর পাপ হল বিদ‘আত। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদ‘আতের ভয়াবহতা সম্পর্কে উম্মতে মুহাম্মাদীকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; মুসলিম, হা/১৭১৮)। কারণ বিদ‘আতী সুন্নাতকে অবজ্ঞা করে। বিদ‘আতীর প্রতি, আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতাম-লী ও সমস্ত মানুষের লা‘নত। তার কোন আমল কবুল হবে না (বুখারী হা/১৮৭০; মুসলিম হা/১৩৬৬)। তওবাও কবুল হবে না (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৪২০২, সনদ ছহীহ)। সে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শাফা‘আত পাবে না (ছহীহ বুখারী হা/৭০৫০-৭০৫১)।
ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আহলুর রায় বা বিদ‘আতীরা আসলে আল্লাহর শত্রু’ (তাবাক্বাতুল হানাবিলাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫-৩৬)। তারা বিদ‘আত মহব্বত করে আর সুন্নাহকে এবং সুন্নাতের ধারক-বাহকদের ভর্ৎসনা করে, তাচ্ছিল্য করে, ব্যঙ্গ করে। ইমাম আহমাদ ইবনু সিনান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেক বিদ‘আতীই আহলেহাদীছদেরকে গালি দেয়। আর যখন কোন লোক বিদ‘আত করে, তখন তার অন্তর থেকে হাদীছের মহব্বত ছিনিয়ে নেয়া হয়’ (মা‘রিফাতু উলূমিল হাদীছ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪)। তাই কোন বিদ‘আতী যদি কুফরী পর্যায়ের বিদ‘আতে নিমজ্জিত থাকে এবং তার কাছে শরী‘আত পৌঁছার পরও যদি বিদ‘আতের উপর অটল থাকে, কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুসারীদেরকে গালমন্দ করে, জেনে বুঝে সুন্নাহকে কটাক্ষ ও তাচ্ছিল্য করে, তাহলে তার জন্য দু‘আ করা যাবে না এবং তার প্রশংসাও করা যাবে না। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তাদের বিদ‘আত যদি কুফরীর পর্যায়ে না পৌঁছায়, তাহলে তাদেরকে এ কাজ থেকে বিরত রাখা ও ভীতি প্রদর্শন করার উদ্দেশ্যে তাদের জানাযার ছালাত না পড়াই ভালো। কিন্তু যদি তাদের বিদ‘আত কুফরীর পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেমন খারেজী, মু‘তাযিলা এবং জাহমিয়াদের বিদ‘আত, তাহলে তাদের জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে না (ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ১৬১)। অর্থাৎ এমতাবস্থায় তার জন্য দু‘আ করা যাবে না।
প্রশ্নকারী : মাহমূদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।