সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
উত্তর : কাউকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে স্যালুট করা, এটি একটি অনৈসলামিক সভ্যতা ও সংষ্কৃতি। এটি মূলত পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণের ফল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

‏لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلَا بِالنَّصَارَى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُوْدِ الإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ وَتَسْلِيْمَ النَّصَارَى الإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ‏ ‏.‏

‘বিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহুদীরা আঙ্গুলের ইশারায় এবং খ্রিষ্টানরা হাতের ইশারায় সালাম দেয়’ (তিরমিযী, হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২১৯৪)। তিনি আরো বলেন,

لَا تُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمَ الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى، فَإِنَّ تَسْلِيْمَهُمْ بِالْأَكُفِّ وَالرُّؤوْسِ وَالْإِشَارَةِ

‘তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণে সালাম দিয়ো না। কেননা তারা হস্ত, মস্তিষ্ক ও ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাকে’ (নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, হা/১০১৭২; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৭৮৩, ৪/৩৮৮ পৃ.)। ‘আত্বা ইবনু আবী রাবাহ বলেন, كَانُوا يَكْرَهُوْنَ التَّسْلِيْمَ بِالْيَدِ، أَوْ قَالَ: كَانَ يَكْرَهُ التَّسْلِيْمَ بِالْيَدِ ‘ছাহাবীগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়া অপসন্দ করতেন। অথবা তিনি বলেন, তিনি হাতের ইশারায় সালাম দেয়া অপসন্দ করতেন’ (ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৭৬৮, সনদ ছহীহ)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘বিজাতীয় পদ্ধতিতে নেতা-নেত্রী অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্যালুট করা কোনও মুসলিমের জন্য জায়েয নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সঙ্গে সাদৃশ্য আনয়ন করতে নিষেধ করেছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে তাঁদের সামাজিক পদমর্যাদা অনুয়ায়ী সম্মান করা জায়েয়। কিন্তু সম্মান প্রদর্শনের নামে সীমালঙ্ঘন করা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয় (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২৩৫-২৩৬ পৃ.)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘কোন দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ানো বা স্যালুট প্রদান করা জায়েজ নয়, বরং এটি জঘন্য বিদ‘আত; যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও খুলাফায়ে রাশিদীনদের যুগে ছিল না (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ,  ১/২৩৫ পৃ.; ফৎওয়া নং-২১২৩)। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ছাহাবীদের নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাইতে অধিক প্রিয় ও প্রেমাস্পদ ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। অথচ তাঁরাও তাঁকে দেখে দাঁড়াতেন না। কেননা তাঁরা জানতেন যে, তিনি এটা পসন্দ করেন না (তিরমিযী, হা/২৭৫৪; আহমাদ, হা/১২৩৪৫, ১২৩৭০)।


প্রশ্নকারী : আমীনুর রহমান, উত্তরা, ঢাকা।





প্রশ্ন (২৪) : বাম হাতে খাওয়া বা পান করতে হাদীছে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু দুই হাতে খাওয়া বা পান করার কোন নজীর রাসূল (ﷺ), ছাহাবায়ে কেরাম বা পরবর্তী কোন সালাফ থেকে পাওয়া যায় কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : শুক্রবার জুমু‘আর আযান কয়টা? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পাখি পোষা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : কাগজ নকল করে কোনো দেশের ভিসা করে টাকা উপার্জন করলে, সেই টাকা কি হারাম হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : প্রচলিত আছে যে, ‘৭০ বছর বয়স হলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কোন পাপ ফেরেশতারা লিখেন না’। উক্ত দাবী কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : কেউ ইসরা অস্বীকার করলে কাফির কিন্তু বাইতুল মাক্বদিস থেকে মি‘রাজ বা ঊর্ধ্বগমন অস্বীকার করলে কাফির হবে না বরং বিদ‘আতী হবে। এ ফৎওয়া কতটুকু সঠিক? কুরআন দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায় কিন্তু হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয় না। এমন আক্বীদা কি বিশুদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৮) : মানুষ মারা গেলে চল্লিশা করা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : মহিলারা কি জানাযা ও কাফন-দাফন কার্যে অংশগ্রহণ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : যদি কারো মা তার দেবরের সামনে শরী‘আহ মোতাবেক পর্দা না করে এবং ছেলের বাবা তাকে কিছু না বলে, তাহলে ছেলে কি দাইয়ূছ হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম। কিছু দিন শুধু কথা বলেছি। যখন জানতে পেরেছি এই সম্পর্ক হারাম  তখন ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কথা বলার সময় কিছু ওয়াদা করেছিলাম। এখন কি সেই ওয়াদা পালন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ছোট বাচ্চাদের প্রাণীর খেলনা বা প্রাণীর ছবিযুক্ত খেলনা দেয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জর্দাখোরের ইমামতিতে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ