উত্তর : যিলহজ্জ মাস শুরু হলে যিনি কুরবানী দিবেন তিনি কুরবানী করার পূর্র্বে নখ, চুল, শরীরের অতিরিক্ত পশম কাটতে পারবেন না (মুসলিম হা/১৯৭৭)। ইমাম ইবনে কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার দাবী হল, হারাম হওয়া। অর্থাৎ যে কুরবানী করতে চায় তার জন্য কুরবানীর পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত নখ-চুল, শরীরের অতিরিক্ত চামড়া ইত্যাদি কাটা হারাম।
তবে জরুরী কোন সমস্যার কারণে এগুলো কাটা জায়েয আছে। শাইখ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কারো যদি চুল, নখ ও চামড়া কাটার প্রয়োজন হয় তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নেই। যেমন- আহত হওয়ার কারণে মাথার চুল কাটা বা নখ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে তা কেটে ফেলা জরুরী হলে অথবা চামড়ার কোন অংশ ঝুলে পড়ে কষ্ট দিলে তা কেটে ফেলা। এগুলোতে কোন অসুবিধা নেই (মাজমূউ ফাতাওয়া ২৫/১৬১ পৃ.)।
তাছাড়া ইসলামের একটি সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি হল, الضرورات تبيح المحظورات ‘যরূরী প্রয়োজন নিষিদ্ধ বিষয়কে বৈধ করে দেয়’। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আল্লাহ কারো উপর তার সাধ্যাতীত কোন কাজের দায়িত্ব অর্পণ করেন না (সূরা বাকারাহ ২৮৬)। অন্য বলেন, অতএব, তোমরা তোমাদের সাধ্যানুযায়ী আল্লাহকে ভয় করো (সূরা তাগাবুন ১৬)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ নাফি, রাজবাড়ী।