উত্তর : কথাটি সঠিক নয়। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
أن الكعبة كانت قبلة الأنبياء كلهم وأن اتجاه اليهود إلى بيت المقدس والنصارى إلى المشرق كان من جملة تحريفهم الذي حرفوا به دينهم
‘সমস্ত নবীর ক্বিবলাহ কা‘বা-ই ছিল, পরবর্তীতে ইয়াহুদীরা বাইতুল মাক্বদিছের দিকে এবং খ্রিস্টানরা পূর্ব দিকে পরিবর্তন করে ফেলে। যেমন, তারা তাদের ধর্মের অন্যান্য ক্ষেত্রেও পরিবর্তন ঘটিয়েছে’ (শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন, তাফসীরুল কুরআনিল কারীম, সূরাতুল বাক্বারাহ-এ ২৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্র.; https://www.alathar.net/home/esound/index.php?op=codevi&coid=91750)। আবূ জা‘ফর ইবুন জারীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
بأن القبلة (الكعبة) هي قبلة إبراهيم، وقبلة الأنبياء من بعده، وأهل الكتاب يعرفون هذا، ومع هذا أحدثوا قبلة أخرى، كما سبق
‘কা‘বা হল ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর ক্বিবলাহ এবং তাঁর পরবর্তী নবীগণেরও। আহলে কিতাবরা এটি জানত। তারপরেও তারা অন্য ক্বিবলাহ তৈরি করেছিল’ (তাফসীরুত্ব ত্বাবারী, ৩/১৮৭-১৮৮; তাফসীরে ইবনে কাছীর, ১/৪৬২ পৃ.)।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আহলে কিতাবদের ক্বিবলা পরিবর্তন করার বিষয়টি অহীর বিধান বা আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ অনুযায়ী হয়নি। বরং তারা নিজেরাই পরামর্শ করে করেছে। আল্লাহ তা‘আলা কখনো ইঞ্জিল বা অন্য কোথাও খ্রিস্টানদেরকে পূর্ব দিকে ক্বিবলা নির্ধারণ করার আদেশ দেননি। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা তাওরাত বা অন্য কোথাও ইয়াহুদীদেরকে ‘ছখরাহ আল-বাত্তাহ’-এর দিকে ক্বিবলাহ নির্ধারণ করার আদেশ দেননি। বরং তারা নিজেরাই সেদিকে মুখমণ্ডল করে ছালাত আদায় করত’ (আল-বাদাঈয়ু ওয়াল ফাওয়াঈদ, ৪/১৬০৫ পৃ.)। শায়খ তাহির ইবনু ‘আশূর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘জেনে রাখুন, ইয়াহুদীরা বাইতুল মাক্বদিসকে নিজেদের প্রবৃত্তি অনুযায়ী ক্বিবলাহ বানিয়েছে। তাদের দ্বীনে এ সম্পর্কে কোন নির্দেশনা নেই। তাওরাতের কোন খণ্ডে এর প্রমাণ পাওয়া যায় না’ (আত-তাহরীর ওয়াত তানভীর, ২/৯-১০ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান, গাযীপুর।