সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
উত্তর : তারাবীহর ছালাত ৮ রাক‘আত। ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ), ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ সকলেই ৮ রাক‘আত তারাবীহ পড়তেন। আবূ সালামা ইবনু আব্দুর রহমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একদা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রামাযানের রাতের ছালাত কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রামাযান মাসে এবং রামাযানের বাইরে ১১ রাক‘আতের বেশি ছালাত আদায় করতেন না। তিনি প্রথমে (২+২) চার রাক‘আত পড়তেন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাক‘আত পড়তেন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি তিন রাক‘আত পড়তেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০১৩, ইফাবা হা/১৮৮৬, ৩/২৯৭ পৃ. ও ১২৬৯, ‘তারাবীহ্র ছালাত’ অধ্যায়-৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/৭১৮, ১/২৫৪ পৃঃ)। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রামাযান মাসে আমাদের সাথে ৮ রাক‘আত ছালাত আদায় করেছেন এবং বিতর পড়েছেন.. (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ, হা/১০৭০, ২/১৩৮ পৃ.; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/২৪০৯ ও ২৪১৫, ৬/১৬৯ ও ১৭৩ পৃ., সনদ ছহীহ)।  

সায়েব ইবনু ইয়াযীদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ওবাই বিন কা‘ব ও তামীম দারী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে রামাযান মাসে ১১ রাক‘আত তারাবীহ্র ছালাত জামা‘আতের সাথে পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন (মুওয়াত্ত্বা ১/১১৫ পৃ.; মিশকাত, ১১৫ পৃ., হা/১৩০২ ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘রামাযানে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ)।

২০ রাক‘আত তারাবীহর পক্ষে যে বর্ণনাটি এসেছে, তা মুহাদ্দিছগণের নিকট যঈফ ও জাল। উক্ত বর্ণনায় ইবরাহীম ইবনু ওছমান নামে একজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী রয়েছে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, ২/২৮৬; বায়হাক্বী, হা/৪৬১৫, ২/৬৯৮)। ইমাম বায়হাক্বী (৩৮৪-৪৫৮ হি.) উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, ‘আবূ শায়বাহ (ইবরাহীম ইবনু ওছমান) হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছে। সে যঈফ রাবী’ (সুনানুল কুবরা, হা/৪৬১৫, ২/৬৯৮ পৃ.)। ছহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ‘ঊমদাতুল ক্বারী’ প্রণেতা আল্লামা বদরুদ্দীন আয়নী হানাফী (রাহিমাহুল্লাহ) উক্ত রাবী সম্পর্কে বলেন,

جَدُّ أَبِىْ بَكْرِ ابْنِ أَبِىْ شَيْبَةَ كَذَّبَهُ شُعْبَةُ وَضَعَّفَهُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَعِيْنٍ وَالْبُخَارِىُّ وَالنَّسَائِىُّ وَغَيْرُهُمْ

‘ইবনু আবী শায়বাহকে ইমাম শু‘বাহ মিথ্যুক বলেছেন এবং ইমাম আহমাদ, ইবনু মাঈন, ইমাম বুখারী, নাসাঈ (রাহিমাহুমুল্লাহ) সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছ তাকে যঈফ বলেছেন’ (ঊমদাতুল ক্বারী, ১১/১২৮ পৃ.)। শায়খ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) উক্ত হাদীছকে জাল বলেছেন (সিলসিলা যঈফাহ, হা/৫৬০, ২/৩৫-৩৭ পৃ.)। অতএব ২০ রাক‘আতের বর্ণনার উপর আমল করা যাবে না। ছহীহ হাদীছের আলোকে ৮ রাক‘আত তারাবীহ পড়তে হবে।

প্রশ্নকারী : মাসুদ রানা, নরসিংদী।





প্রশ্ন (২৩) : জনৈক আলেম বলেন, ফজরের পর ঘুমানো যাবে না। কারণ এই সময় বরকত নাযিল হয়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : ছালাতে আমীন বলতে হবে ইমামের সাথে, না-কি ইমামের পরে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : স্ত্রী সুস্থ থাকার পরও সহবাস করতে না চাইলে জোর করে সহবাস করলে কী তার উপর যুলম হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ইসলামে বায়ে মুয়াজ্জালের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : ‘তোমরা রাতের বেলায় রাস্তার মধ্যভাগে অবস্থান নেয়া থেকে সাবধান থাক। কেননা উহা হল, সাপ ও হিংস্র প্রাণীদের আশ্রয়স্থল’ মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : চোখের যিনা করলে ক্বিয়ামতের দিন চোখে গরম শিশা ঢালা হবে এই রকম কোন হাদীছ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : নেশাজাতীয় দ্রব্য ভক্ষণকারীকে সালাম দেয়া যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ‘আহলেহাদীছ’ নামে কোন মসজিদের নামকরণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ছিয়াম অবস্থায় সাইনোসাইটিস রোগীর পেটের ভেতরে নাকের শ্লেষ্মা চলে গেলে তার ছিয়ামের হুকুম কী? একই রোগী যদি নাকে রক্তসহ ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং তার মুখে রক্তের স্বাদ পায় সেক্ষেত্রে হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কয়টি স্ত্রী ও কয়টি ছেলে-মেয়ে ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : কুরবানী করার সময় কোন্ দু‘আ পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবক। আমার ফ্যামিলির মূল উপার্জন হারাম উপায়ে অর্জিত হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় আমি হালাল ইনকাম করে আলাদা কিনে খেলে বা হোটেলে খেলে আব্বা আম্মা খুব কষ্ট পান। প্রশ্ন হল- আমি যদি তাদের খাবারই খাই কিন্তু প্রতি খাবার প্রতি মাস শেষে বিল দিয়ে দেই, তাহলে এটা কি আমার জন্য বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ