উত্তর : আহলে কিতাবদের যব্হকৃত পশুর মাংস খাওয়া হালাল। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ বলেন, ‘দু’টি শর্তসাপেক্ষে আহলে কিতাব অর্থাৎ ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের যব্হকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল। প্রথম শর্ত : মুসলিমদের ন্যায় শারঈ পদ্ধতিতে বিসমিল্লাহ বলে খাদ্যনালী, শ্বাসনালী ও গলা কেটে রক্ত প্রবাহিত করে যব্হ করতে হবে। যদি আহলে কিতাবরা শ্বাসরোধ করে অথবা বিদ্যুত শকের মাধ্যমে অথবা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে, তাহলে তাদের জব্হকৃত পশুর গোশত হালাল হবে না। এমনকি মুসলিমরাও যদি ঐ পদ্ধতিতে যব্হ করে, তাহলে তাদেরও জব্হকৃত গোশত খাওয়া হালাল হবে না। দ্বিতীয় শত : আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে যব্হ করবে না। যেমন মাসীহ বা অন্য কারো নামে। কেননা অন্য কারো নামে যব্হ করলে তা খাওয়া হালাল হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যার উপর যব্হকালে আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি, তোমরা তা ভক্ষণ কর না। কেননা তা পাপ’ (সূরা আল-আন‘আম : ১২১)।
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় (আল্লাহ) তোমাদের জন্য মৃত জীব, রক্ত, শূকরের মাংস এবং যে সব জন্তুর উপরে (যব্হ কালে) আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারণ করা হয়ে থাকে, তা তোমাদের জন্য অবৈধ করেছেন (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৭৩; ইক্বতিযাউছ ছিরাত্বিল মুস্তাক্বীম, ১/২৫১ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৮৮২০৬)। উপরিউক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় শায়খ ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘অর্থাৎ যা যব্হকালে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে যব্হ করা হয়েছে। যেমন মাসীহ অর্থাৎ ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর নামে অথবা মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর নামে অথবা জিবরীল (আলাইহিস সালাম)-এর নামে অথবা অন্য কারো নামে (তাফসীরে সূরাতিল বাক্বারাহ)।
প্রশ্নকারী : ইফতিখার আলম, যুক্তরাষ্ট্র।