উত্তর : ইমাম বায়হাক্বী, ইবনু হাজার আসক্বালানী, ইমাম দারাকুৎনী, খত্বীব বাগদাদী, ইমাম নববী (রাহিমাহুমুল্লাহ)-এর ক্ষেত্রে উক্ত দাবী সঠিক নয়। তবে আশ‘আরীদের মধ্যে যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের সাথে সম্পৃক্ত তাদের মধ্যে উক্ত মনীষীদের অন্তর্ভুক্ত করলে সমস্যা নেই। কারণ ইমাম আবুল হাসান আশ‘আরী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর দিকে সম্পৃক্ত করেই আশ‘আরী বলা হয়। আর তারা তিনভাগে বিভক্ত। একদল মু‘তাযিলার সাথে সম্পৃক্ত, দ্বিতীয় দল ইবনু কিলাবের সাথে এবং ৩য় দল আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের সাথে সম্পৃক্ত। আশ‘আরীদের মধ্যে যারা এই তৃতীয় ভাগের অনুসারী তারা আহলে সুন্নাহরই দলভুক্ত। যেমন ইবনু তায়মিইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর মাজমূঊল ফাতাওয়ার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৭২)। প্রশ্নে উল্লেখিত বিদ্বানগণ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আলেমদের কাছে সুন্নাহপন্থী হিসাবেই পরিচিত। যেহেতু তাদের আক্বীদাগত দিক স্পষ্ট হওয়াই তাদের নিকট থেকে ইলম নেয়াতে কোন বাধা নেই। অর্থাৎ তারা আক্বীদা গোপনকারী নন আবার ভ্রষ্ট আক্বীদারও প্রমাণিত নন। সঊদী স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ডকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, আশ‘আরীরা কাফের না। তারা আল্লাহর ছিফাতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অপব্যাখ্যা করেছে এবং এতে তারা ভুল করেছে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২২০, ফৎওয়া নং-৬৬০৬)।
প্রশ্নকারী : আব্দুস সুবহান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।