উত্তর : শায়খ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালী বর্তমান সময়ের প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ, সমাজ সংস্কারক। শায়খ মাদখালী ১৯৩১ সালে সঊদী আরবের ‘জাজান’ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। রাজধানীর ইমাম মুহাম্মাদ বিশ্ববিদ্যালয়, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স ও পি-এইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে তার শিক্ষকদের অন্যতম ছিলেন শায়খ বিন বায, শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন, শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুমুল্লাহ), আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ) সহ অনেকেই।
পরবর্তীতে তিনি মদীনা ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে হাদীছ অনুষদে দারস দেন। বিভাগীয় প্রধান হিসাবে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং হাদীছ বিশ্লেষণে দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করে অনেক মনীষী তাঁর সম্পর্কে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘তিনি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের একজন উত্তম অনুসারী, তাঁর জ্ঞান, আক্বীদা ছহীহ। তাঁর লেখনী থেকে চাইলে কেউ উপকার নিতে পারে’। শায়খ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রাবী মাদখালীর রাবীদের সমালোচনা নিয়ে বিরোধীরা যা বলছে সে বিষয়ে তাদের নিকট কোন জ্ঞান নেই; বরং মাদখালির নিকট এ বিষয়ে ইলম আছে’।
শায়খ ছালেহ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) -কে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর সম্পর্কে ভালো ছাড়া কিছুই জানি না। তিনি একজন মুহাদ্দিছ এবং আহলে সুন্নাহর একনিষ্ঠ অনুসারী। তাছাড়া মুকবিল হাদী, শায়খ ইবনু জিবরীন প্রমুখ বিদ্বান শায়খ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালী সম্পর্কে প্রশংসাসূচক বক্তব্যই দিয়েছেন। সালাফী মানহাজ থেকে বের হয়ে গেছেন এমন বক্তব্য বর্তমান দুনিয়ার পরিচিত কোন সালাফী বিদ্বান দিয়েছেন মর্মে আমাদের জানা নেই। আর তা অসম্ভব। সর্বশেষ হেদায়াতের মালিকানা মহান আল্লাহর হাতেই নিয়োজিত। আল্লাহ আমাদেরকে সালাফী মানহাজকে আঁকড়ে ধরে থাকার তাওফীক্ব দান করুন এবং জান্নাতের পথে পরিচালিত করুন-আমীন!!
প্রশ্নকারী : সাজ্জাদ শাওন, টাঙ্গাইল।