উত্তর : শরী‘আতসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক জায়েয। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে অসংখ্য দু‘আ বর্ণিত হয়েছে, যার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও তাঁর ছাহাবীদেরকে ঝাড়-ফুঁক করতেন। একবার জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৮৬; মিশকাত, হা/১৫৩৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর জন্য ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৭১; মিশকাত, হা/১৫৩৫)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অসুস্থ হতেন, তখন সূরা ফালাক্ব ও নাস দ্বারা নিজের শরীরের উপর ফুঁ দিতেন এবং নিজের হাত দ্বারা শরীরে মুছে ফেলতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৩৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯২; মিশকাত, হা/১৫৩২)। তবে কুরআনের কোন আয়াত ও হাদীছের কোন দু‘আ গলায় ঝুলিয়ে রাখ যাবে না। কেননা শরী‘আত সম্মত ঝাড়-ফুঁকের মধ্যে গলায় ঝুলিয়ে রাখার কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। তাছাড়া এটা শিরক। বরং এর বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যায় (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৫৮; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৪৯২, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য যে, ঝাড়-ফুঁক আল্লাহর উপর ভরসা করার পরিপন্থী নয় (উছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন-২৬)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল মালেক, নাটোর।