উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কারণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ছিল সময়সাপেক্ষ। যেমন ‘আবিস (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি ‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘নবী (ﷺ) কি কুরবানীর গোশত তিনদিনের অধিক সময় খেতে নিষেধ করেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, সেই বছরেই কেবল নিষেধ করেছিলেন, যে বছর মানুষ অনাহার ও দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। তখন তিনি চেয়েছিলেন ধনীরা যেন গরীবদের খাওয়ায়। আমরা তো বকরীর পায়াগুলো তুলে রাখতাম এবং পনের দিন পর তা খেতাম। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, কিসে আপনাদের এগুলো খেতে বাধ্য করত? তিনি হেসে বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হবার পূর্ব পর্যন্ত তাঁর পরিবার-পরিজন এক নাগাড়ে তিনদিন তরকারীসহ গমের রুটি পেট ভরে খাননি’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪২৩, ৫৪২৮)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘পরবর্তী সময়ে লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! মানুষেরা তো কুরবানীর পশুর চামড়া দিয়ে পাত্র প্রস্তুত করছে এবং তার মাঝে চর্বি গলাচ্ছে। রাসূল (ﷺ) বললেন, তাতে কী হয়েছে? তারা বলল, আপনিই তো তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত খাওয়া হতে নিষেধ করেছেন। তিনি বললেন, আমি তো বেদুঈনদের আগমনের কারণে এ কথা বলেছিলাম। অতঃপর এখন তোমরা খেতে পার, জমা করে রাখতে পার এবং ছাদাক্বাহ করতে পার’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৭১)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহীম, জামালপুর।