উত্তর : শিশুদের খেলনার পুতুল, যা বর বা কনের আকৃতিতে সাজানো হয় এগুলো দুই প্রকারে বিভক্ত।যথা :
১. বৈধ, যাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। আর তা হল বর্তমানে যা তৈরি করা হচ্ছে, ছায়া বিশিষ্ট এক প্রকার পুতুল কিন্তু তাতে চোখ, কান, নাক, মুখ কোন কিছু নেই। এগুলোর বৈধতা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কেননা উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) এধরনের কন্যা পুতুল দিয়ে খেলা করতেন (আবূ দাঊদ, হা/৪৯৩২, সনদ ছহীহ)।
২. প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি জাতীয় এক পুতুল, যা দেখতে হুবহু মানুষের মত। এতে মানুষের সাদৃশ্য চোখ, ঠোঁট, ভ্রু ইত্যাদি থাকে; এমনকি কিছু পুতুল মানুষের মত হাঁটতে পারে এবং আওয়াজও দিতে পারে। এধরনের পুতুলের বৈধতা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে, কিন্তু এতে কঠোরতা নেই। কেননা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) মেয়ে পুতুল দিয়ে খেলা করতেন। এমনকি বলা হয় যে, এগুলো মেয়েদের আনন্দ উপভোগের জন্য। তবে আমরা বলব, যদি এগুলো থেকে বিরত থাকা যায় তবে সেটাই কল্যাণকর হবে ইনশাআল্লাহ। কেননা রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘সন্দেহযুক্ত বস্তু পরিত্যাগ করে সন্দেহহীন বিষয় গ্রহণ কর’ (তিরমিযী, হা/২৫১৮; নাসাঈ, হা/৫৭১১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৩, সনদ ছহীহ)।
আর এগুলো ছাড়া বিভিন্ন প্রাণীদের ছবি যেমন বাঘ, ঘোড়া জাতীয় ছবি আকৃতির খেলনাগুলো ব্যবহার করার কোন দরকার নেই। এগুলোর বিকল্প স্বরূপ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি গাড়ি কিংবা এ জাতীয় খেলনা ব্যবহার করা। কেননা বাচ্চারা প্রাণীর খেলনার মত এগুলো দিয়েও খেলতে পারবে। আর যদি প্রাণী জাতীয় খেলনার অত্যাবশ্যকীয়তা দেখা যায়, তাহলে এগুলোর শরীর থেকে মাথা কেটে খেলনা হিসাবে ব্যবহার করবে (শায়খ উছায়মীন, উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, ৬/২৬)।
প্রশ্নকারী : ইযায, যশোর।