উত্তর : পেশাব-পায়খানা করার পর পানি দ্বারাই পবিত্রতা অর্জন করবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৫০-১৫২, (ইফাবা হা/১৫২, ১/১০২ পৃ.); মিশকাত, হা/৩৪২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৩১৫, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬১)। তবে পানি না পাওয়া গেলে ঢিলা-কুলুখ বা টিস্যু পেপার দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫; মিশকাত, হা/৩৪৯)। পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ নেয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কুলুখ নেয়ার পর পানি নেয়া সম্পর্কে যে বর্ণনা উল্লেখ করা হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন (সিলসিলা যঈফাহ, হা/১০৩১-এর ভাষ্য দ্র.; তালখীছুল হাবীর, হা/১৫১) এবং ছহীহ হাদীছের বিরোধী (আবূ দাঊদ, হা/৪৪, ১ম খণ্ড, পৃ. ৭; ইবনু মাজাহ, হা/৩৫৫)।
পেশাবের পর কুলুখ নিয়ে বাইরে এসে চল্লিশ কদম হাঁটা, কাশি দেয়া, নাচানাচি করা, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, টয়লেটে কুলুখের আবর্জনার স্তূপ তৈরি করা সবই নব্য মূর্খতা। ইসলামে এরূপ বেহায়াপনার কোন স্থান নেই। মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা মানুষকে এত নীচে নামিয়েছে। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পেশাবের পর জোরে কাশি দেয়া, উঠাবসা করা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ শয়তানী ধোঁকা মাত্র (ইগাছাতুল লাহফান, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৬৬)। শরী‘আতে পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। তাই বলে এর নামে নতুন আরেকটি বিদ‘আত তৈরি করার অনুমতি দেয়া হয়নি। এটা যে বেহায়াপনা তার আরেকটি কারণ হল, পেশাব করার পর এমনটি করতে দেখা যায়, কিন্তু পায়খানা করার পর এই অভ্যাস দেখা যায় না।
পেশাবের ছিটা কাপড়ে লেগে যাওয়ার আশংকায় ইসলাম তার জন্য সুন্দর বিধান দিয়েছে। আর তা হল, ওযূ করার পর হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর কাপড়ের উপর ছিটিয়ে দেয়া (আবূ দাঊদ, হা/১৬৬ ও ৬৭, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, বাড্ডা, ঢাকা।