উত্তর : হিশাম ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ أُحُدٍ احْفُرُوْا وَأَوْسِعُوْا وَأَعْمِقُوْا وَأَحْسِنُوْا
‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওহুদের যুদ্ধের দিন বলেছিলেন, তোমরা কবর খনন কর। তোমরা কবরকে প্রশস্ত, গভীর এবং সুন্দর কর’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৩০০; তিরমিযী, হা/১৭১৩; আবূ দাঊদ, হা/৩২১৫; নাসাঈ, হা/২০১০; ইবনু মাজাহ, হা/১৫৬০; মিশকাত, হা/১৭০৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৬১১, ৪/৭৪ পৃ., সনদ ছহীহ)। গভীরতার পরিমাণ সম্পর্কে ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহতে একটি বর্ণনা এসেছে, যেখানে কবরকে মানুষের দৈর্ঘ্য পরিমাণ গভীর করতে বলা হয়েছে। ইমাম শাফেঈও (রাহিমাহুল্লাহ) সেকথা বলেন। খলীফা ওমর ইবনু আব্দুল আযীয (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে ‘নাভী’ পর্যন্ত গভীর করার কথা এসেছে। ইমাম ইয়াহ্ইয়া ‘বুক’ পর্যন্ত বলেন। তিনি বলেন, এর সর্বনিম্ন পরিমাণ হল যাতে লাশ ঢাকা পড়ে এবং হিংস্র জন্তু থেকে হেফাযত হয়। ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কবরের গভীরতার কোন সীমা নেই’ (শাওকানী, নায়লুল আওত্বার, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৯৪)। অতএব রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাধারণ নির্দেশ অনুযায়ী কবর গভীর করতে হবে এবং তা অধিক গভীর হওয়াই উত্তম।
প্রশ্নকারী : আনীসুর রহমান, সাতক্ষীরা।