সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
উত্তর : বরকতের আশায় মসজিদ, বাড়ি কিংবা দোকানের দেওয়ালে আল্লাহর নামসমূহ, কুরআনুল কারীমের আয়াতের অংশ অথবা হাদীছের অংশ লিপিবদ্ধ করা বা ঝুলিয়ে রাখা বিদ‘আত ও অপসন্দনীয় কাজ। এটি সালাফে ছালিহীনের নীতি বিরোধী কাজ (আল-মাজমূঊ লিননাবাবী, ২/৭০; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ র্দাব ইবনে উছাইমীন, ১/১২৯; লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, লিক্বা নং-১৯৭, প্রশ্ন নং-৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১২৭৯৮৭)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘বাড়ি, মাদরাসা, অফিস বা দোকানের দেওয়ালে কুরআনুল কারীমের কোন সূরা বা আয়াত ঝুলিয়ে রাখাতে বিবিধ অকল্যাণ ও ক্ষতি রয়েছে। যথা :
(১) কেউ কেউ দেওয়ালের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য টাঙিয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা কিন্তু কুরআনুল কারীমকে দেওয়ালের শোভা বৃদ্ধি করার জন্য বা টাঙিয়ে রাখার জন্য অবতীর্ণ করেননি। এতো এক মহা উপদেশমালা, যা আল্লাহ্ তা‘আলা নবী (ﷺ)-এর উপর মু‘জিজা স্বরূপ অবতীর্ণ করেছেন।
(২) অনেকেই আবার বরকত প্রাপ্তির জন্য টাঙিয়ে থাকে। অথচ এটি বিদ‘আত! কেননা তিলাওয়াতে ফযীলত ও বরকত রয়েছে, শুধু টাঙিয়ে রাখার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। বরং এর মধ্যে কুরআনুল কারীমের অবমাননা রয়েছে।
(৩) আল্লাহ তা‘আলা যে মহান উদ্দেশ্য কুরআনুল কারীমকে অবতীর্ণ করেছেন, এর মাধ্যমে সেই মহান উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। নবী (ﷺ), খুলাফায়ে রাশিদীন, ছাহাবায়ে কিরাম, তাবিঈগণ এবং তাবি‘ তাবিঈদের যুগে এর প্রচলন ছিল না। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যে, আন্দালুস এবং তুরস্কের লোকেরা কুরআনের আয়াত দ্বারা মসজিদ ও বাড়ির দেওয়াল সুসজ্জিত করার প্রচলন শুরু করে।
(৪) অনেক সময় এটি শিরকের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কেননা অনেকেই ধারণা করে যে, এটি তাদেরকে বিপদাপদ থেকে নিরাপদ রাখবে এবং এর ফলে ব্যবসায় বরকত হবে। অথচ কল্যাণ-অকল্যাণের একমাত্র মালিক আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা।
(৫) অনেকে এগুলোকে স্বর্ণ দ্বারা লিপিবদ্ধ করে। অনেকে লেখাটিকে বৃক্ষ, সাজদারত মানুষ বা অন্য কিছুর আকৃতি দেয়ার চেষ্টা করে। এবং এমন রচনাশৈলীতে লেখে যা পড়াও যায় না। সুতরাং মুসলিমদের উচিত কুরআনুল কারীমকে যথারীতি তিলাওয়াত করা এবং সেই মোতাবেক আমল করা (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৪/৫৮ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৫৪)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি আরো বলেন, ‘মসজিদের দেওয়ালে কুরআনের আয়াত লেখা জায়েয নয়। কারণ এগুলো নিষিদ্ধ কাজের অন্তর্ভুক্ত’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৫/১৯০ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শাহনেওয়াজ, সাজেক, বান্দরবান।





প্রশ্ন (২৩) : কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে নফল ছিয়াম রাখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কুরআন হাতে নিয়ে কোন কিছুর প্রতিজ্ঞা করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : জনৈক ব্যক্তি আগে ওযনে কম দিত। তখন ইসলাম সম্পর্কে তেমন জানত না। এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : জুমু‘আর দিনে বেলা ১১-১২ টা পর্যন্ত কুরআন শিক্ষা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : কুরআনে এসেছে, কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। তাহলে দাইয়ূছ ব্যক্তি কেন জান্নাতে যাবে না? তার কী দোষ? এটা কি সাংঘর্ষিক নয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : শুক্রবারে ‘আরাফার দিন হলে সেই হজ্জ ৭ হজ্জের সমান- এ কথা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ফাতেমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে ‘মা’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : অনেকে রামাযান মাস আসলে তওবা করে, ছালাত আদায় করে এবং ছিয়াম পালন করে। কিন্তু রামাযানের পর সব ছেড়ে দেয়। এদের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : আক্বীদা ও মানহাজার মধ্যে পার্থক্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ‘যে ব্যক্তি খুশি মনে, নেকীর আশায় কুরবানীর পশু যবেহ করবে, তার জন্য সে পশু জাহান্নামের ঢাল হবে’। উক্ত হাদীছের সনদ সম্পর্কে জানতে চাই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : কোন অমুসলিম যদি কালেমা পাঠ করে মুসলিম হয়, তাহলে তার কি সুন্নাতে খাৎনা করা এবং এভিডেভিট করা যরূরী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ‘যে বিয়েতে খরচ যত কম, সেই বিয়েতে বরকত তত বেশি' মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি সহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ