মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলার সুন্দর সুন্দর নাম বা গুণবাচক নামসমূহ ও বৈশিষ্ট্যসমূহ তথা আসমা ওয়াছ ছিফাত ব্যতীত অন্য কিছুর মাধ্যমে কসম খাওয়া জায়েয নয়। কুরআন হল আল্লাহর কালাম বা বাণী, যা তার বৈশিষ্ট্য সমূহের একটি। তা কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং এটি তার যাত বা সত্তার এক অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য। ছিফাত বা বৈশিষ্ট্য কখনো যাত বা সত্তা থেকে আলাদা হয় না। তার যাত বা সত্তা যেমন, অনাদী ও অবিনশ্বর তার প্রতিটি ছিফাতও (যেমন কথা বলা, দেখা, শোনা, হাত, চোখ ইত্যাদি) অনুরূপ। সুতরাং আল্লাহর কালামকে আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্টিজগতের মত একটি সৃষ্ট বস্তু বলার মানে হল- আল্লাহর কথা বলার ছিফাতকে অস্বীকার করা এবং অন্যান্য সৃষ্টি যেমন একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, ঠিক তেমনি আল্লাহর কালামও একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে! নাউযুবিল্লাহ। এটি যে একটি কুফরী আক্বীদা-বিশ্বাস তাতে কোন সন্দেহ নেই। সুতরাং বুঝা গেল, কুরআন আল্লাহর কালাম এবং তা আল্লাহর সৃষ্টি নয়। এ ব্যাপারে সালাফদের মাঝে কোন দ্বিমত ছিল না এবং আলহামদুলিল্লাহ এখনো পর্যন্ত হক্বপন্থীদের মাঝে কোন দ্বিমত নেই। অতএব কুরআনের কসম খাওয়া বলতে কেউ যদি আল্লাহর কালামের কসম খাওয়া উদ্দেশ্য নেয়, তাহলে এই ধরণের কসম খাওয়া শরী‘আত সম্মত।

পক্ষান্তরে ক্বুরআনের কসম খাওয়া বলতে কেউ যদি কাগজ ও কালির কসম খাওয়া উদ্দেশ্য নেয়, তাহলে এই ধরণের কসম খাওয়া শরী‘আত সম্মত নয়, বরং তা শিরক। সা‘দ ইবনু উবাইদাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) একজন লোককে বলতে শুনলেন, কা‘বার শপথ! ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন, ‘আল্লাহ তা‘আলার নাম ব্যতীত অন্য কিছুর নামে শপথ করা যাবে না। কেননা রাসূল (ﷺ)-কে আমি বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলার নাম ব্যতীত অন্য কিছুর নামে যে লোক শপথ করল সে যেন কুফরী করল অথবা শিরক করল’ (তিরমিযী, হা/১৫৩৫)। তিনি আরো বলেন, ‘কাউকে কসম খেতে হলে সে যেন আল্লাহর নামেই কসম করে, নতুবা চুপ করে থাকে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৭৯, ৩৮৩৬)। সেই জন্য মানুষের উচিত মুছহাফ বা পবিত্র কুরআনের কসম না খাওয়া। কেননা এর মধ্যে যেমন, আল্লাহর কালাম রয়েছে, ঠিক তেমনি কাগজ ও কালিও রয়েছে। সামান্য নিয়তের পার্থক্যের কারণে তা শিরক হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে কুরআনকে স্পর্শ করে অথবা কুরআনের উপর হাত রেখে কসম খাওয়া বিদ‘আত (ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ, ৩/৪৬৩ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৮১৯৪; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ র্দাব ইবনে উছাইমীন)।


প্রশ্নকারী : আরিফ দেওয়ান, চাঁদপুর।





প্রশ্ন (৩৫) : সরকারী ভ্যাট বা কর হিসাবে যাকাতের টাকা প্রদান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : ‘যে ব্যক্তি সূরা আলে ইমরান পাঠ করে সে লোক সম্পদশালী এবং সে স্ত্রীলোক সুসজ্জিতা’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/২৫১৬), মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : কোন অমুসলিম যদি কালেমা পাঠ করে মুসলিম হয়, তাহলে তার কি সুন্নাতে খাৎনা করা এবং এভিডেভিট করা যরূরী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন মৃতব্যক্তির ছবি সেট করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : সাত আসমানে সাতজন মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আছেন। এই দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : শরী‘আতের দৃষ্টিতে পোশাক পরিধানের সময় কোন্ কোন্ জিনিস থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫): আমি একজন প্রবাসী। প্রবাসেই  রামাযানের ছিয়াম রাখি। প্রশ্ন হল- আমাকে কি আমার ফিতরা প্রবাসেই আদায় করতে হবে, না-কি দেশে আমার পরিবারকে আমার ফিতরা আদায় করার দায়িত্ব দিতে পারব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : রুক্বিয়া বা ঝাড়ফুঁক করে টাকা নেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : বিভিন্ন এলাকায় মানুষ মারা গেলে বাড়ি থেকে জানাযার স্থানে নেয়ার সময় চল্লিশ কদম পর্যন্ত গণনা করা হয়। প্রতি দশ কদম পর পর খাটিয়া বহনকারী লোকদের পরিবর্তন করা হয়। এটা কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : কখন যাকাত বের করা সর্বাধিক উত্তম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ইসলামী বইপুস্তক যেমন- ফিক্বহ, আক্বীদা, তাফসীর ইত্যাদি বিষয়ক বইপুস্তকের উপর অন্য কোন জিনিসপত্র রাখা কিংবা ইসলামী বইপুস্তক একটার উপর আরেকটি রাখার ব্যাপারে আলেমগণের বক্তব্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : বিড়ি-সিগারেট নির্মাণ কারখানার সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ