বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
উত্তর : জিনেরা মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং বিভিন্নভাবে আক্রমণ করে কষ্ট দেয়। কখনো জিনেরা মানুষকে মেরে ফেলে। কখনো বা পাথর নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্নভাবে ভয় দেখায়। জিনদের এ সকল কর্ম হাদীছ এবং বিভিন্ন বাস্তব ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত (ছহীহ বুখারী, হা/৩২৯৭-৩২৯৮ ও ৩৩১০-৩৩১১)। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খন্দক যুদ্ধের দিন জনৈক ছাহাবীকে তার স্ত্রীর কাছে যাওয়ার অনুমতি দেন। কারণ তিনি নতুন বিবাহ করেছিলেন। অতঃপর যুবক ঘরে ফিরে দেখলেন যে, স্ত্রী ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি তার প্রতি মনক্ষুণ্ন হলেন। স্ত্রী বললেন, ঘরে প্রবেশ করুন। ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন বিছানার উপরে একটি সাপ ব্যাড় দিয়ে বসে আছে। যুবকটির হাতেই ছিল বর্শা। বর্শা দিয়ে সাপকে আঘাত করার সাথে সাথে সাপটি মারা গেল এবং উক্ত ছাহাবীও মৃত্যুবরণ করলেন। সাপ এবং ছাহাবীর মধ্যে কে আগে মারা গেল, তা জানা যায়নি। এই সংবাদ নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌঁছার পর তিনি ঘরের মধ্যে বসবাসকারী পিঠের উপরে রেখা বিশিষ্ট এবং লেজহীন ছোট ছোট সাপগুলো ব্যতীত অন্যগুলো মারতে বললেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৩৬; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন-৪৩)।

উক্ত ঘটনা থেকে জানা গেল যে, জিনেরা মানুষের উপরে আক্রমণ করে এবং নানাভাবে কষ্ট দেয়। মুতাওয়াতির ও মাশহূর সনদে বর্ণিত হাদীছে আছে যে, মানুষ কখনো কখনো পুরাতন এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ী-ঘরে প্রবেশ করলে পাথর নিক্ষিপ্ত হয়। অথচ সেখানে কোন মানুষ দেখতে পায় না। আবার কখনো কখনো আওয়াজ এবং গাছের পাতার নাড়াচড়া শুনতে পায়। এতে মানুষ ভয় পায়। এমনিভাবে আসক্ত হয়ে কিংবা কষ্ট দেয়ার জন্য অথবা অন্য কোন কারণে জিন মানুষের শরীরেও প্রবেশ করে। এ দিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেন, ‘যারা সূদ খায়, তারা ক্বিয়ামতে দণ্ডায়মান হবে যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আছর করে ভারসাম্যহীন পাগলের মত করে দেয়’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৫)।

আর জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য হাদীছে বর্ণিত দু‘আগুলো পাঠ করতে হবে। তার মধ্যে আয়াতুল কুরসী অন্যতম। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শয়নকালে যদি কেউ আয়াতুল কুরসী পাঠ করে, তাহলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান (জিন) তার নিকটবর্তী হতে না পারে (ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১ ‘প্রতিনিধিত্ব’ অধ্যায়-৪০; মিশকাত হা/২১২৩ ‘কুরআনের ফযীলত’ অধ্যায়)। কোন বাড়ীতে সূরা বাক্বারাহর শেষ দু’টি আয়াত একাধারে তিনদিন পাঠ করলে উক্ত বাড়ীতে শয়তান প্রবশে করে না (তিরমিযী, হা/২৮৮২; দারেমী, হা/৩৩৮৭, সনদ ছহীহ)।




প্রশ্ন (১১) : অনৈসলামিক উপন্যাসের বই বিক্রি করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছুটে যাওয়া বিতর ছালাত সূর্য উঠার পর বা দিনের বেলায় পড়লে কিভাবে পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : সূর্যাস্তের সময় ‘দুখূলুল মসজিদ’ আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : হালাল রিযিকের জন্য কোন্ কোন্ আমল করা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : বিভিন্ন কাজে পত্রিকার কাগজ ব্যবহার করা হয়। যদি ঐ পত্রিকায় আল্লাহর নাম বা কুরআনের আয়াত বা হাদীছ থাকে, তাহলে ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : বালতিতে বা আবদ্ধ পাত্রে নাপাক কাপড় ধৌত করলে তা কীভাবে পবিত্র করতে হবে? অনেকে বলে ৩ বার ধৌত করলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : বিভিন্ন এলাকায় ফিতরা ও কুরবানীর অর্থ থেকে ইমাম-মুওয়াযযিনের বেতন দেয়া হয়। এটা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ফজরের সুন্নাত ছালাত বাড়িতে পড়ার পর মসজিদে গিয়ে সময় থাকলে কি তাহিইয়াতুল মসজিদ/দুখুলুল মসজিদের দু’রাক‘আত আদায় করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩): ফিতরা পরিশোধ করার সময় পঠিতব্য বিশেষ কোন দু‘আ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ইবাদত অধ্যায়ের পাঠ-২ এ লিখা আছে, ‘উৎপন্ন শস্যের যাকাত ধান, গম, যব, খেজুর ইত্যাদি শস্য সেচ প্রদান ছাড়া বৃষ্টির পানিতে জন্মালে ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত’ সব ফসলের দশ ভাগের এক ভাগ যাকাত আদায় করতে হবে। একে উশর বলে। আর সেচ ব্যবস্থায় উৎপন্ন ফসলের বিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত আদায় করতে হয়’। প্রশ্ন হল- ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত’ কথাটি কি সঠিক? এর ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : জনৈক আলেম বলেন, মসজিদে প্রবেশ করে ইচ্ছা করে ছালাত না পড়ে বসলে কোন গুনাহ হবে না, কারণ এটা নফল ছালাত। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : জনৈক বক্তা বলেন, কুরবানীর মাংস তিনদিনের বেশি খাওয়া যাবে না। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ