শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : জিনেরা মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং বিভিন্নভাবে আক্রমণ করে কষ্ট দেয়। কখনো জিনেরা মানুষকে মেরে ফেলে। কখনো বা পাথর নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্নভাবে ভয় দেখায়। জিনদের এ সকল কর্ম হাদীছ এবং বিভিন্ন বাস্তব ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত (ছহীহ বুখারী, হা/৩২৯৭-৩২৯৮ ও ৩৩১০-৩৩১১)। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খন্দক যুদ্ধের দিন জনৈক ছাহাবীকে তার স্ত্রীর কাছে যাওয়ার অনুমতি দেন। কারণ তিনি নতুন বিবাহ করেছিলেন। অতঃপর যুবক ঘরে ফিরে দেখলেন যে, স্ত্রী ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি তার প্রতি মনক্ষুণ্ন হলেন। স্ত্রী বললেন, ঘরে প্রবেশ করুন। ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন বিছানার উপরে একটি সাপ ব্যাড় দিয়ে বসে আছে। যুবকটির হাতেই ছিল বর্শা। বর্শা দিয়ে সাপকে আঘাত করার সাথে সাথে সাপটি মারা গেল এবং উক্ত ছাহাবীও মৃত্যুবরণ করলেন। সাপ এবং ছাহাবীর মধ্যে কে আগে মারা গেল, তা জানা যায়নি। এই সংবাদ নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌঁছার পর তিনি ঘরের মধ্যে বসবাসকারী পিঠের উপরে রেখা বিশিষ্ট এবং লেজহীন ছোট ছোট সাপগুলো ব্যতীত অন্যগুলো মারতে বললেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৩৬; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন-৪৩)।

উক্ত ঘটনা থেকে জানা গেল যে, জিনেরা মানুষের উপরে আক্রমণ করে এবং নানাভাবে কষ্ট দেয়। মুতাওয়াতির ও মাশহূর সনদে বর্ণিত হাদীছে আছে যে, মানুষ কখনো কখনো পুরাতন এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ী-ঘরে প্রবেশ করলে পাথর নিক্ষিপ্ত হয়। অথচ সেখানে কোন মানুষ দেখতে পায় না। আবার কখনো কখনো আওয়াজ এবং গাছের পাতার নাড়াচড়া শুনতে পায়। এতে মানুষ ভয় পায়। এমনিভাবে আসক্ত হয়ে কিংবা কষ্ট দেয়ার জন্য অথবা অন্য কোন কারণে জিন মানুষের শরীরেও প্রবেশ করে। এ দিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেন, ‘যারা সূদ খায়, তারা ক্বিয়ামতে দণ্ডায়মান হবে যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আছর করে ভারসাম্যহীন পাগলের মত করে দেয়’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৫)।

আর জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য হাদীছে বর্ণিত দু‘আগুলো পাঠ করতে হবে। তার মধ্যে আয়াতুল কুরসী অন্যতম। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শয়নকালে যদি কেউ আয়াতুল কুরসী পাঠ করে, তাহলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান (জিন) তার নিকটবর্তী হতে না পারে (ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১ ‘প্রতিনিধিত্ব’ অধ্যায়-৪০; মিশকাত হা/২১২৩ ‘কুরআনের ফযীলত’ অধ্যায়)। কোন বাড়ীতে সূরা বাক্বারাহর শেষ দু’টি আয়াত একাধারে তিনদিন পাঠ করলে উক্ত বাড়ীতে শয়তান প্রবশে করে না (তিরমিযী, হা/২৮৮২; দারেমী, হা/৩৩৮৭, সনদ ছহীহ)।




প্রশ্ন (১৩): আযান ও ইকামতের মাঝে দু‘আ কবুল হয়। এক্ষণে আযান ও ইকামতের মাঝে দু‘আ করার সময় হামদ ও দরুদ পাঠ করতে হবে কি, আর দুই হাত তুলে দু‘আ করতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : স্বামী থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী যদি অন্যজনের সাথে মেলা-মেশা করে, তাহলে ইসলামী শরী‘আতে তার বিধান কী হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : বিয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত কী কী? স্বামীর আক্বীদা ছহীহ না হলে বিবাহ দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জুতা পরা ও খুলার সময় কোন্ পা আগে দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মহিলারা মাহরামদের সামনে কেমন পর্দা করবে? মহিলাদের পোশাক কেমন হওয়া দরকার? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ‘তোমরা হজ্জ ও উমরাহ পরপর একত্রে পালন কর। কেননা এ দু’টি (হজ্জ ও উমরাহ) দারিদ্র্য ও গুনাহসমূহ এমনভাবে দূর করে দেয় যেমন কামারের হাপর লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে দেয়। আর হজ্জে মাবরূরের বিনিময় জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ছাহাবায়ে কেরাম বলতেন, ‘আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক’। এই কথার অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : হজ্জ মানুষের পাপকে ধুয়ে দেয়, যেভাবে পানি ময়লাকে ধুয়ে দেয়। এই হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : লায়লাতুল ক্বদরে তারাবীহর ছালাত আদায় করার পর ক্বদরের নামে ৮ বা ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করা যায় কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : বিভিন্ন এলাকায় ফিতরা ও কুরবানীর অর্থ থেকে ইমাম-মুওয়াযযিনের বেতন দেয়া হয়। এটা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : আনুমানিক ১২-১৫ বছর আগে দাদা মারা গেলে বন্যার কারণে বাড়িতেই কবর দেয়া হয়। পরে পাকা বাড়ি করার সময় জায়গা কম হয়ে গেলে কবরটির উপর বাড়ি করা হয়। এটা কি অন্যায় হয়েছে? এখন কী করা যেতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ