উত্তর : এ বিষয়ে মতানৈক্য থাকলেও সঠিক কথা হচ্ছে, মানুষের বীর্য পবিত্র (ফাতাওয়া ইবনে বায ২৯/১০৫ পৃ.)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَرْكًا فَيُصَلِّي فِيْهِ ‘আমি নিজে রাসূল (ﷺ)-এর কাপড় থেকে শুকনো বীর্য রগড়িয়ে ফেলেছি, আর তিনি সে কাপড় পরেই সালাত আদায় করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৮)। অন্য হাদীছে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, كُنتُ أَفْرُكُ الْمَنِي مِنْ ثَوْبِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَيُصَلِّي فِيْهِ ‘আমি রাসূল (ﷺ)-এর কাপড় থেকে বীর্য রগড়ে তুলে ফেলতাম। অতঃপর তিনি ঐ কাপড়েই সালাত আদায় করতেন (আবূ দাঊদ, হা/৩৭২, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র এসেছে, কখনো কখনো আমি রাসূল (ﷺ)-এর কাপড় হতে আঙ্গুল দিয়ে বীর্য খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলতাম (তিরমিযী, হা/১১৬, সনদ ছহীহ)। অন্য হাদীছে এসেছে, তিনি কাপড় থেকে শুকনো বীর্য নখ দিয়ে খুটে তুলতেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২৯০)। এ মর্মে আরো হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, বীর্য ময়লার মত, নাপাকের বিধানের অন্তর্ভুক্ত নয় (ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ, ২১/৫৯০ পৃ.)। যেমন কাশ, শিকনি, পোঁটা। তাছাড়া আল্লাহর অনুমতিক্রমে বীর্য থেকেই সন্তানের জন্ম হয়। এটা নাপাক বস্তু হতে পারে না (আল-মাজমূ‘উ, ২/৫৭২ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : তানিয়া, ঢাকা।