বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
উত্তর : ছালাত পরিত্যাগকারীর যাকাত, ছিয়াম, হজ্জ কোন আমলই কবুল হবে না। বরং সব আমল বাতিল হবে (ত্বাবারাণী, আল-আওসাত্ব হা/১৮৫৯, সনদ ছহীহ)। বুরাইদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,  مَنْ تَرَكَ صَلاَةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ ‘যে ব্যক্তি আছরের ছালাত পরিত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৫৩; মিশকাত, হা/৫৯৫)। ‘তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়’-এর অর্থ হল, তা বাতিল হয়ে যায় এবং তা তার কোন কাজে আসবে না। এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, ছালাত পরিত্যাগকারীর কোন আমল আল্লাহ কবুল করেন না এবং ছালাত ত্যাগকারী তার আমল দ্বারা কোনভাবে উপকৃত হবে না। তার কোন আমল আল্লাহর কাছে উত্তোলন করা হবে না (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৪৯৬৯৮)।

শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে ছালাত পরিত্যাগকারীর ছিয়াম রাখার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ছালাত পরিত্যাগকারীরা শুদ্ধ নয় এবং তা কবুলযোগ্য নয়। কারণ ছালাত ত্যাগকারী কাফের ও মুরতাদ। তিনি দলীল হিসাবে নিম্নোক্ত আয়াত ও হাদীছগুলো পেশ করেছেন। আল্লাহ‌ তা‘আলা বলেন,

فَاِنۡ تَابُوۡا وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ  فَاِخۡوَانُکُمۡ فِی الدِّیۡنِ

‘আর যদি তারা তওবা করে, ছালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই’ (সূরা আত-তওবাহ  : ১১)। নবী বলেছেন, بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاةِ ‘কোন ব্যক্তির মাঝে এবং শি‌রক ও কুফরের মাঝে সংযোগ হচ্ছে ছালাত বর্জন করা’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৮২)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেন, ‘আমাদের ও তাদের মধ্যে চুক্তি হলো ছালাতের। সুতরাং যে ব্যক্তি ছালাত ত্যাগ করল, সে কুফরি করল’ (তিরমিযী, হা/২৬২১, সনদ ছহীহ)। ছাহাবীগণও এই অভিমত পোষণ করতেন। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী আব্দুল্লাহ ইবনে শাক্বিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ ﷺ لَا يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الْأَعْمَالِ تَرْكَهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلَاةِ.  ‘নবী করীম (ﷺ)-এর ছাহাবীগণ ছালাত ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরি মনে করতেন না’ (তিরমিযী, হা/২৬২২; মিশকাত, হা/৫৭৯, সনদ ছহীহ)। উক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, যদি কোন ব্যক্তি ছিয়াম রাখে কিন্তু ছালাত না পড়ে তবে তার ছিয়াম প্রত্যাখ্যাত, গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্র কাছে কোন উপকারে আসবে না (ফাতাওয়াছ ছিয়াম, পৃ. ৮৭)।


প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, দিনাজপুর।





প্রশ্ন (৬) : ওযূ করার সময় মুখে ও নাকে পানি দেয়ার সঠিক পদ্ধতি কোনটি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : অনেকে জীব-জন্তু বা মানুষের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা ব্যানার তৈরি করেন। উক্ত ব্যানার বা কার্ডের ডিজাইনের কাজ করা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : আশারায়ে মুবাশশারা বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ ব্যক্তি কারা? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : ছালাতে অবহেলাকারীদের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬): মাতাল বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ত্বালাক্ব দিলে, ত্বালাক্ব সংঘটিত হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : খাদ্য ও পানীয় হারাম হলে দু‘আ কবুল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : বিবাহের পূর্বে যদি কেউ বলে, আমি অমুক কাজ করলে বিবাহের পর আমার স্ত্রী ত্বালাক হয়ে যাবে। আমি যাকে বিবাহ করব সে ত্বালাক্ব। এগুলো বললে কি ত্বালাক্ব কার্যকর হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : দাইয়ূছের পরিণতি কেমন হতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : মেয়ে শিশুর কানে আযান দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : হজ্জের সামর্থ্য না থাকলে ওমরাহ করা যাবে কি? জনৈক ব্যক্তি বলেন, কারও যদি হজ্জের সামর্থ্য না থাকে, তবে সে কখনও ওমরাহ করতে পারবে না। কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ‘মদ পান করলে ৪০ দিন ছালাত কবুল হয় না’  মর্মে বর্ণিত কথার সত্যতা কতটুকু? আর এ কথা কি ঠিক যে, ‘মদ-গাঁজা সেবন করলে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে’?  - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক আলেম বলেন, কুরবানী দিতে অক্ষম ব্যক্তিগণ কুরবানীর খালেছ নিয়তে যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর নখ ও চুল না কাটলে সে আল্লাহর নিকটে তা পূর্ণাঙ্গ কুরবানী হিসাবে গৃহীত হবে। তিনি দলীল হিসাবে মিশকাত হা/১৪৭৯ পেশ করেছেন। সেই সাথে এটাও বলেছেন যে, শু‘আইব আরনাঊত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) অত্র হাদীছটিকে হাসান বলেছেন। তবে শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) অত্র হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। এখন আমরা দুই শায়খের মধ্যে কার তাহক্বীক্বকে প্রাধান্য দিব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ