শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ছাদাক্বাহ অর্থ হল, যাকাত, দান, খয়রাত এবং নেকীর কাজ। অন্যের জন্য কল্যাণ, উপকার বা সুবিধা পৌঁছে দেয়াকে ছাদাক্বাহ বলা হয় (ইবনু তায়মিয়াহ, শারহুল আরবাঈন আন-নাবুবিয়্যাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০৩)। ছাদাক্বাহ শব্দটি ফরয যাকাত এবং সাধারণ ছাদাক্বাহ (দান) দু’টিকেই শামিল করে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাতুল কুয়েতিয়্যাহ, ২৬তম খণ্ড, পৃ. ৩২৩)। এ দৃষ্টিকোণ থেকে ছাদাক্বাহ দু’ প্রকার। (১). ফরয ছাদাক্বাহ। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ ‘নিশ্চয় ফকীর ও মিসকীনদের জন্য যাকাতের মাল’ (সুরা আত-তওবা : ৬০)। (২). নফল বা সাধারণ ছাদাক্বাহ। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ ‘যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন হতে খেজুর ছাদাক্বাহ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৪১০)। তবে এ দু’প্রকার ছাদাক্বার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। যেমন- ১. যাকাত শব্দটি খাছ আর ছাদাক্বাহ শব্দটি ‘আম (শারহুল আরবাঈন আন-নাবুবিয়্যাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০৪)। ২. যাকাত শব্দটি শুধুমাত্র নিছাব পরিমাণ সম্পদের সাথে সংশ্লিষ্ট (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৮৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩১০)। কিন্তু ছাদাক্বাহ শব্দটি সম্পদসহ সকল নেক কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট (ছহীহ বুখারী, হা/৬০২১; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩৭৫)। আর ছাদাক্বাহ পাওয়ার হক্বদার হল আট শ্রেনীর মানুষ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ  الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡہَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُہُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ  وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ  اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ  عَلِیۡمٌ  حَکِیۡمٌ

‘ছাদাক্বাহ হল কেবল ফকীর, মিসকীন, যাকাত আদায়কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক্ব এবং তা দাস-মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (ব্যয়ের জন্য) আর মুসাফিরের জন্য। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত ফরয। আর আল্লাহ তা‘আলা সর্বজ্ঞ, মহাবিজ্ঞানী’ (সূরা আত-তওবা : ৬০)।

তবে এ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি নিজে অসহায় হয় তাহলে  সে নিজেই ছাদাক্বার বেশি হক্বদার (আবূ দাঊদ, হা/১৬৯১; নাসাঈ, হা/২৫৩৫)। অতঃপর গরীব আত্মীয়-স্বজন (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৬৯, ৫৬১১; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৯৮) এবং মিসকীন (ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৫৫; নাসাঈ, হা/২৬০৪)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল হান্নান, দিনাজপুর।




প্রশ্ন (২১) : টিউবওয়েল বা ট্যাপের নিচে পাত্রে পানি জমা করে সেই জমাকৃত পানি দিয়ে ওযূ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : যেকোন মসজিদে ই‘তিকাফ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ইমাম জুম‘আর দিন মিম্বরে বসার সময় সালাম দিবেন মর্মে কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কুরআন মাজীদে চুমা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : অনেকে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রাহিমাহুল্লাহ)-কে শয়তানের শিং বলে অভিহিত করে থাকে। এটা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : দাড়ি একমুষ্টি রেখে বাকি অংশ কাটা যাবে কি? যেখানে ছহীহ বুখারীর ৫৮৯২ নম্বর হাদীছে এসেছে, ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহ আনহুমা) সূত্রে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের উল্টো করবে- দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে। ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহ আনহুমা) যখন হজ্জ বা ওমরাহ করতেন, তখন তিনি তাঁর দাড়ি মুষ্টি করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু বেশি থাকত, তা কেটে ফেলতেন। এছাড়া আরো হাদীছ এসেছে। এই বিষয়ে সঠিক সমাধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ছালাতে মাঝে মধ্যে রুকূতে সিজদার তাসবীহ অথবা সিজদাতে রুকূ-র তাসবীহ পড়ে ফেলি। রুকূ‘-সিজদাহ সম্পূর্ণ হওয়ার পর মনে পড়ে আমি ভুল করেছি। এই ক্ষেত্রে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ইসলামে বায়ে মুয়াজ্জালের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বার নিয়ত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ছিয়াম পালনে অক্ষম ব্যক্তিকে ফিদইয়া দিতে বলা হয়েছে। এর পরিমাণ সম্পর্কে কেউ বলছে এক ছা‘ আবার কেউ আধা ছা‘। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : কোন্ অবস্থায় ছাদাক্বাহ করলে নেকী বেশি পাওয়া যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : ঈদের খুত্ববাহ কয়টি? কোথাও একটি আবার কোথাও দু’টি দিতে দেখা যায়। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ