উত্তর : ‘আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল’ এ কথার ঘোষণা দেয়া ইসলামে প্রবেশের চাবিকাঠি। কেননা এই সাক্ষ্য দেয়া ব্যতীত ইসলামে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। এজন্যই রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু‘আয (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে ইয়ামানে পাঠানোর সময় আদেশ দিয়েছিলেন যে, তুমি প্রথম এই কথার সাক্ষ্য দেয়ার আহবান জানাবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৯৫; মিশকাত, হা/১৭৭২)। মূলত প্রথম বাক্যের দু’টি অংশ। একটি ‘না’ বাচক। অপরটি ‘হ্যাঁ’ বাচক। ‘লা-ইলাহা’ অংশটুকু ‘না’ বাচক আর ‘ইল্লাল্লাহ’ অংশটুকু ‘হ্যাঁ’ বাচক। কেননা প্রথমে সমস্ত বাতিল মা‘বূদকে অস্বীকার করে দ্বিতীয় বাক্য দ্বারা একমাত্র সত্য মা‘বূদ আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা (ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন-১৭, পৃ. ৪৭)।
আর (وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًّا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ)-এর অর্থ হল, অন্তরে বিশ্বাস এবং মুখে এই কথার স্বীকৃতি প্রদান করা যে, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমস্ত জিন ও ইনসানের জন্য রাসূল হিসাবে প্রেরিত হয়েছেন। মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাসূল হিসাবে সাক্ষ্য দেয়ার অর্থ হল- তাঁর নির্দেশিত বিষয়ের প্রতি আনুগত্য করা, তিনি যে বিষয়ের সংবাদ দিয়েছেন তাকে বিশ্বাস করা, তিনি যে বিষয় নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা এবং অন্যকে বিরত রাখা, তাঁর পদ্ধতি ব্যতীত আল্লাহর ইবাদত না করা এবং তার বিপরীতে প্রবৃত্তি ও বিদ‘আত থেকে সর্বদা বিরত থাকা (সূরা আল-হাশর : ৭; সূরা আন-নিসা : ৬৫; সূরা আন-নূর : ৬৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন-১৭, পৃ. ৪৯)।
প্রশ্নকারী : মিছবাহুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ।