উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে কাউকে খাছ না করে নবজাতকের আক্বীক্বা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সামুরা ইবনু জুনদুব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেন, ‘প্রত্যেক ছেলে তার আক্বীক্বার বদলে বন্ধক। সপ্তম দিনে যেটি তার পক্ষ থেকে যব্হ করা হয়, তার মাথা মু-ন করা হয় এবং তার নাম রাখা হয়’ (আবূ দাঊদ, হা/২৮৩৮; তিরমিযী, হা/১৫২২, সনদ ছহীহ)। উম্মে কারায (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আক্বীক্বা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ছেলে বাচ্চার পক্ষ থেকে দু’টি ভেড়া এবং মেয়ে বাচ্চার পক্ষ থেকে একটি ভেড়া’ (তিরমিযী, হা/১৫১৬, সনদ ছহীহ)। জারজ সন্তানও এই হাদীছগুলোর অন্তর্ভুক্ত। তাই তার পক্ষ থেকেও আক্বীক্বা দেয়া যাবে। যেহেতু জারজ সন্তানকে তার মায়ের দিকে সম্বন্ধিত করা হয়; তাই তার মা তার পক্ষ থেকে আক্বীক্বা দিবেন।
শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘মায়ের জন্য তার ব্যভিচারজাত সন্তানের আক্বীক্বা দেয়া কি জায়েয আছে এবং এ সন্তানের কি ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার আছে? জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ; মা তার আক্বীক্বা দিবেন। তার সন্তানের আক্বীক্বা দেয়া তার জন্য মুস্তাহাব এবং এ সন্তানের ভরণপোষণ বহন করা তার উপর ওয়াজিব; যদি তিনি সামর্থ্যবান হন। যদি সামর্থ্য না রাখেন তাহলে রাষ্ট্রীয় প্রতিপালনা সংস্থায় হস্তান্তর করবেন। আর সক্ষম হলে তাকে প্রতিপালন করবে, তার প্রতি অনুগ্রহ করবে, তার পক্ষ থেকে আক্বীক্বা দিবে। তাকে প্রতিপালন করা তার উপর আবশ্যক এবং যা করে ফেলেছেন সেটা থেকে আল্লাহ্র কাছে তাওবা করবেন। এই সন্তানকে তার দিকেই সম্বন্ধিত করা হবে। আর যে পুরুষ তার সাথে ব্যভিচার করেছে তার উপর আবশ্যক তাওবা করা। তবে তার উপর ভরণপোষণ দেয়া আবশ্যক নয় এবং এটি তার বাচ্চা নয়; জারজ বাচ্চা। তার উপর আবশ্যক তাওবা করা। সন্তানটি এই মহিলার এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব তার (মাজমূঊ ফাতাওয়াস শায়খ ইবনু বায, ২৮/১২৪ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, দিনাজপুর।