বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
উত্তর : ছহীহ হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, ‘আরাফার দিনে ছিয়াম পালন করতে হবে, যদিও এ বিষয়ে সামান্য মতভেদ রয়েছে। কারণ ছিয়ামের ফযীলতটা আরাফার দিনের কারণেই।  রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেন, ‘আরাফা দিবসের (عرفة یوم) ছিয়ামের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্বের এক বছরের এবং পরের এক বছরের পাপ মোচন করে দিবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২; মিশকাত, হা/২০৪৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৯৪১, ৪/২৫০-৫১ পৃ.)।

শাইখ বিন বায (রহ.)-এর তত্ত্বাবধানে সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড আরাফার দিন সম্পর্কে বলেছে, (الناس یقف الذي الیوم ھو عرفة یوم بعرفة فىه) যেদিন হাজীগণ আরাফার মাঠে অবস্থান করেন সেটা আরাফার দিন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১০/৩৯৩ পৃঃ)। বোর্ড এই বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়েছে (https://youtu.be/ZfnGxnEJ5gchttps:/ww/w.alukah.net/sharia/0/94239/#ixyy70ynaGOl3)।

বোর্ড আরো উল্লেখ করেছে যে, কেউ চাইলে আগে বা পরেও রাখতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১০/৩৯৩ পৃঃ)। শাইখ সুলায়মান আর-রুহায়লী বলেন, এই দিনটা আরাফার মাঠের সাথে সম্পৃক্ত। আর আরাফার মাঠ অন্যান্য দেশে নেই, এটা সঊদীতে অবস্থিত। তাই সম্ভব হলে এ দিনেই ছিয়াম রাখবে। যদি এই দিনটি অন্যদের ঈদের দিনের সাথে মিলে যায়, তবে তারা আগের দিন রাখবে (https://youtu.be/ZfnGxnEJ5gc)। শাইখ উছায়মীন (রহ.) বলেন, চাঁদের বিষয় নিয়ে আলেমদের মধ্যে ইখতিলাফ রয়েছে। তিনি অন্যান্য ছিয়ামের মত আরাফার ছিয়ামকেও নিজ নিজ দেশের ৯ তারিখ অনুযায়ী রাখার  মতকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং আম দলীল পেশ করেছেন (উছায়মীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২৮)। উভয় মতের পক্ষে আরো আলোচনা আছে।

এখানে স্পষ্ট হচ্ছে যে, সঊদী আরবের ফাতাওয়া বোর্ড, শাইখ বিন বায, শাইখ  উছায়মীন, প্রফেসর ড. সুলায়মান আর-রুহায়লী সবাই অন্যান্য ছিয়াম নিজ  নিজ ভূখণ্ডের চাঁদ অনুযায়ী রাখার কথা বলেছেন। কিন্তু আরাফার ছিয়ামকে সঊদী  আরবের ফাতাওয়া বোর্ড, শাইখ রুহায়লী আরাফার দিনের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন  এবং আগে বা পরে রাখার বিষয়েও ছাড় দিয়েছেন। আর শায়খ উছায়মীন (রহ.) অন্যান্য ছিয়ামের মত আরাফার ছিয়ামকেও নিজ নিজ দেশের চাঁদ অনুযায়ী রাখার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। এখানেই সামান্য ইখতিলাফ।

অন্যদিকে নফল ছিয়াম আগে বা পরে রাখার ক্ষেত্রে যে ছাড় রয়েছে, তা স্পষ্ট। যেমন-আইয়ামে বীয-এর ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তিগণ যিলহজ্জ মাসে ১৪ ও ১৫ তারিখে ২ দিন ছিয়াম পালন করতে পারেন। যেহেতু ১৩ তারিখ তাশরীক্বের মধ্যে পড়ে যায়, যেদিন ছিয়াম রাখা নিষিদ্ধ। তাই পরের দু’দিন ছিয়াম পালন করলেই যথেষ্ট হবে (নাসাঈ, হা/২৪৩৪, ২৩৯৪, সনদ ছহীহ)। এছাড়া চাইলে ১৬ তারিখ বা ঐ মাসের অন্য কোন দিনে অবশিষ্ট একটি ছিয়াম রাখতে পারবে (আবূ দাঊদ, হা/২৪৫৩, সনদ ছহীহ; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘উ ফাতাওয়া, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ৩৮০)।

 অতএব এ বিষয়ে যিদ করা  উচিত নয়, যা আমরা বিভিন্ন আলোচনায় একাধিকবার বলেছি। আল্লাহু আ‘লাম।




প্রশ্ন (২৮) : একজন সাবালক মেয়ে আরেক সাবালক মেয়ের নিকট কতটুকু শরীর প্রকাশ করতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : অপবিত্র কাপড় পরিধান অবস্থায় ওযূ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২): ‘দাতা ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী, জান্নাতের নিকটবর্তী, মানুষেরও নিকটবর্তী, জাহান্নাম হতে দূরবর্তী। আর কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ হতে দূরবর্তী, জান্নাত হতে দূরবর্তী, মানুষ হতেও দূরবর্তী, নিকটবর্তী। নিশ্চয় মূর্খ দানশীল কৃপণ জ্ঞানী অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়’- মর্মে বর্ণনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : আমার বাড়ির কাছাকাছি কোন আহলেহাদীছ মসজিদ নেই। পার্শ্ববর্তী হানাফী মসজিদে ছালাত আদায় করতে গেলে তারা আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। এমতাবস্থায় আমি বাড়িতে ছালাত আদায় করতে পারব কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : ছালাত শেষে যিকিরগুলো সরবে বলতে হবে, না-কি চুপেচুপে বলতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : মদীনায় একদিন রামাযানের ছিয়াম রাখা, অন্য শহরের এক হাযার রামাযানের চেয়ে উত্তম। মদীনায় একদিনের জুম‘আর ছালাত অন্য শহরে এক হাযার জুম‘আ পড়ার চেয়েও উত্তম’ (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর ১/৪৯৩ পৃঃ, হা/১১৪৪)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : দাজ্জালের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য জানিয়ে বাধিত করবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : সূরা আল-বাক্বারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে ত্বাগূত অস্বীকার করার কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ত্বাগূত অর্থ কি? এবং ত্বাগূতের ফায়ছালা নেয়ার পরিণাম কী হতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : জনৈক ব্যক্তি পূর্বে যাকাত আদায় করেনি। এখন বিগত বছরগুলোর যাকাত কিভাবে আদায় করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : মসজিদের নাম পাগলা মসজিদ বলে পরিচিত। হাজার হাজার মানুষ মনের বাসনা পূরণের জন্য সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা দান করে, মানত করে। প্রতিমাসে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এমন মসজিদে দান করা যাবে কি? আর এভাবে ‘পাগলা মসজিদ’ নামে নামকরণ করা কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : স্ত্রীর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের কারণে স্বামী সন্তান নিতে চাচ্ছে না। এতে পাপ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : কেউ যদি ছালাত ছেড়ে ছেড়ে পড়ে যেমন আছর পড়লে মাগরিব পড়ে না, এশার পড়লে ফজর পড়ে না। এমন ব্যক্তিও কি কাফের হয়ে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ