উত্তর : শরী‘আতে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের চেয়ে আউওয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করাকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে (সূরা আন-নিসা : ১০৩; ছহীহ বুখারী, হা/৭৫৩৪; মিশকাত, হা/৬০৭, সনদ ছহীহ)। এমনকি ওয়াক্ত অনুযায়ী ছালাত আদায় করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোরও অঙ্গীকার করেছেন (আবূ দাঊদ, হা/৪৩০, সনদ হাসান)। কোন রাখালও যদি ওয়াক্ত অনুযায়ী একাকী ছালাত আদায় করে, তবুও আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করান (আবূ দাঊদ, হা/১২০৩, ১/১৭০ পৃ., সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/৬৬৫, পৃ. ৬৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৬১৪, ২/২০২ পৃ.)। অতএব দেরী করে নয়, বরং ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে ছালাত আদায় করা অপরিহার্য। বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজর ও আছর ছালাতের ব্যাপারে খুব কঠোরতা আরোপ করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৫৪, ১/৭৮ পৃ., (ইফাবা হা/৫২৭, ২/১৭ পৃ.); আবূ দাঊদ, হা/৪২৮, ১/৬১ পৃ.)।
ইমাম যদি দেরিতে ছালাত আদায় করেন, তাহলে মুক্তাদীর জন্য আওয়াল ওয়াক্তে একাকী ছালাত আদায় করে নেয়া কর্তব্য এবং পরবর্তীতে সে চাইলে ইমামের সাথে জামা‘আতে শামিল হতে পারবে। তাহলে একইসাথে আউওয়াল ওয়াক্ত ও জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ফযীলত লাভ করবে (শারহুন নববী ‘আলা ছহীহ মুসলিম, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৪৭)। হাদীছে এসেছে, আবু যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন, আমীরগণ যখন ছালাতের ওয়াক্ত থেকে সরিয়ে ছালাত দেরী করে পড়বে বা ছালাতকে তার ওয়াক্ত থেকে মেরে ফেলবে, তখন তুমি কী করবে? আমি তখন বললাম, আপনি আমাকে কী করতে বলছেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ ‘ছালাতের সময়েই ছালাত আদায় করে নাও। অতঃপর তাদের সাথে যদি আদায় করতে পার, তাহলে আদায় কর। তবে তা তোমার জন্য নফল হবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪৮; মিশকাত, হা/৬০০)। উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে কোথাও জামা‘আত দেরীতে হওয়ার কারণে কেউ যদি একাকী আউওয়াল ওয়াক্তে ছালাত পড়ে নেয়, তাহলে জামা‘আতের নেকী পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্নকারী : মেহেদী, মেহেরপুর।