উত্তর : দু‘আ, যিকির-আযকার বা তাসবীহ-তাহলীল যদি গণনীয় হয়, তাহলে তা হাতের আঙ্গুলেই গণনা করতে হবে। এতে করে ভুল বা সন্দেহ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ইউসায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, (তিনি মুহাজির নারীদের অন্তর্ভুক্ত)। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বললেন, ‘তোমরা ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু’ ও ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দূস’ বলবে এবং আঙ্গুলসমূহের দ্বারা গণনা করবে। কেননা আঙ্গুলসমূহ ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে ও তাদেরকে বলার শক্তি দেয়া হবে। আর তোমরা গাফেল হবে না। কেননা এরূপ হলে তোমাদেরকে আল্লাহর রহমত হতে ভুলিয়ে দেয়া হবে’ (ছহীহ তিরমিযী, হা/৩৫৮৩; মিশকাত, হা/২৩১৬, সনদ হাসান)। তবে তাসবীহ গণনায় ভুল হলে বা সন্দেহ হলেও কোন দোষ নেই। সম্ভবপর সঠিক করার চেষ্টা করতে হবে। উল্লেখ্য, আঙ্গুল ব্যতীত তাসবীহ দানা বা অন্য কিছুর মাধ্যমে তাসবীহ গণনা করা যাবে না। কেননা এর প্রমাণে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফ তিরমিযী হা/৩৫৬৮; ৩৫৫৪, মিশকাত হা/২৩১১)।
সুন্নাত মোতাবেক আমল করলেই কেবল নেকী পাওয়া যাবে। নইলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। ঐ ব্যক্তি পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে (সূরা আল-কাহফ : ১০৩-০৪)। ওমর ইবনু ইয়াহইয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা মসজিদে নববীতে দলবদ্ধভাবে গোল হয়ে বসে যিকর হচ্ছিল। আবু মূসা আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এসে খবর দিলে আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) মসজিদে গিয়ে তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা কী করছ? তারা বলল, ‘আমরা তাকবীর, তাহলীল, তাসবীহ ও তাহমীদ গণনা করছি’। তখন তিনি বললেন, আসলে তোমরা তোমাদের গুনাহসমূহ গণনা করছ। এখনো ছাহাবীগণ জীবিত আছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাপড় এখনো অক্ষত আছে। তাঁর পানপাত্র সমূহ এখনো ভাঙ্গেনি। আর এখুনি তোমরা বিদ‘আত শুরু করে দিলে? (দারেমী, হা/২০৪, সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২০০৫)।
প্রশ্নকারী : আবূ ছালেহ, চাঁদপুর।