উত্তর : উক্ত ফযীলত মসজিদ বা ইমামের খুত্ববার সাথে সম্পৃক্ত নয় বরং নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং ছালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুৎবা দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকাহ যিকর শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে (ছহীহ বুখারী, হা/৮৮১; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫০)। উক্ত সময়ের ব্যাপারে মতভেদ থাকলেও ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূল (ﷺ) সূর্য ঢলার সাথে সাথে জুমু‘আর ছালাতে বের হতেন এবং শহরের অন্যান্য সকল ইমামও এই সময় বের হতেন তথা খুত্ববার জন্য বসে যেতেন। আর হাদীছে যে পাঁচটি সময়ের কথা বলা হয়েছে তা সময়ের পাঁচটি পর্যায়কে বোঝানো হয়েছে যা শুরু হয় সূর্য উঠার পর হতে আর শেষ হয় ইমাম খুত্ববায় দাঁড়ানোর সাথে সাথে। সুতরাং যেহেতু রাসূল (ﷺ) সূর্য ঢলে যাওয়ার পরই খুত্ববায় বসে যেতেন বিধায় প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত সময় শেষ হয় সূর্য ঢলে যাওয়ার সাথে সাথে। অতএব কেউ যদি সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে মসজিদে আসে তাহলে সে উক্ত ফযীলত হতে বঞ্চিত হবে (আল-মাজমূ‘, ৪/৪১৪ পৃ.)। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে এ মর্মে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মত একই কথা বলেন (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল লি ইবনে উছাইমীন, ফৎওয়া নং-১২৬০; বিস্তারিত দ্র. : ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ, ১/৩৯৯-৪০৭)।
প্রশ্নকারী : ফয়সাল আহমাদ, নাটোর।