উত্তর : সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢুলে যাওয়ার সাথে সাথে যোহরের ছালাতের ওয়াক্ত হয়ে যায়। আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, وَقْتُ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ وَكَانَ ظِلُّ الرَّجُلِ كَطُوْلِهِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ ‘যোহরের ছালাতের ওয়াক্ত হল, যখন সূর্য ঢুলে যাবে। কোন ব্যক্তির ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ ‘আছরের সময় হওয়া পর্যন্ত’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬১২, (ইফাবা হা/১২৬২); মিশকাত, হা/৫৮১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৩৪, ২/১৬৭ পৃ.)। এছাড়া যখন সূর্য ঢুলে পড়ত, তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যোহরের ছালাত আদায় করতেন (আবূ দাঊদ, হা/৩৯৮, ১/৫৮ পৃ.; ছহীহ বুখারী, হা/৫৪১ ও ৭৭১)। অন্য হাদীছে এসেছে, জিবরীল (আলাইহিস সালাম)) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আউয়াল ও আখেরী ওয়াক্তে দু’দিন ছালাত আদায় করে বলেন, وَالْوَقْتُ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ ‘উক্ত দুই ওয়াক্তের মধ্যবর্তী সময়কালই হল আপনার জন্য ছালাতের ওয়াক্ত’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৯৩; মিশকাত, হা/৫৮৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৩৬, ২/১৬৯-৭০ পৃ.)। এক্ষণে ঐ দুই ওয়াক্তের প্রথমার্ধের শুরুর দিকে ছালাত আদায় করলে সেটাই হবে আউয়াল ওয়াক্তে। আউয়াল ওয়াক্তের শুরুটা শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে একটু ভিন্ন হয়, যা ছালাতের সময়সূচী অনুযায়ী দেখে অনুসরণ করতে হবে। যেমন নভেম্বরে ঢাকায় যোহর শুরু হচ্ছে ১১-৪২ মি. ও আছর শুরু হচ্ছে ২-৫৫মি.। আর ফেব্রুয়ারী-মার্চে যোহর শুরু হচ্ছে ১২-১৩ মিনিটে আর আছর শুরু হচ্ছে ৩-২২ থেকে ৩-৩২ মিনিটের মধ্যে। সারা বছর এভাবে কমবেশী হতে থাকবে। হাদীছে যেহেতু ছালাত আগেভাগে পড়ার ব্যাপারে তাকীদ এসেছে (আবূ দাঊদ, হা/৪২৬; মিশকাত, হা/৬০৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৫৯, ২/১৭৯ পৃ.)। তাই প্রথমার্ধের প্রথম দিকেই ছালাত আদায় করে নিতে হবে। বিলম্ব করা যাবে না। উল্লেখ্য, এশার ছালাত দেরীতে পড়া এবং যোহরের ছালাত গ্রীষ্মকালে একটু বিলম্বে পড়ার প্রতি হাদীছে তাকীদ এসেছে (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৭; মিশকাত, হা/৫৮৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৪০, ২/১৭২-৭৩ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাতক্ষীরা।