বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
উত্তর : মুসলিম ও কাফেরের মাঝে পার্থক্যকারী ইবাদত হল ছালাত (মুসলিম হা/৮২)। তাই ছাহাবায়ে কেরাম ছালাত পরিত্যাগকারী ব্যক্তিকে কাফের মনে করতেন (তিরমিযী, হা/২৬২২; সনদ ছহীহ)। তাই এদের সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত নয়।

ছালাত ত্যাগকারীর বিধান সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে সামান্য মতপার্থক্য থাকলেও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী ছালাত ত্যাগকারী নিশ্চিতরূপে কাফির ও মুশরিক। চার মাযহাবের আলেমগণ বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য করলেও ছালাত ত্যাগকারীর বিধান সম্পর্কে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। চার মাযহাবের সর্বসম্মতিক্রমে ছালাত ত্যাগকারী কাফির। শাফিঈ ও মালিকী মাযহাবের মতানুযায়ী ছালাত ত্যাগকারীর শাস্তি হত্যা এবং মৃত্যুর পর তাকে গোসল দেয়া যাবে না, তার উপর জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে না এবং তাকে মুসলিমদের ক্ববরে দাফন করাও যাবে না। হাম্বালী মাযহাবের মতানুযায়ী ছালাত ত্যাগকারীকে তিনদিন আদেশ দিতে হবে এবং বলতে হবে যে, ছালাত আদায় না করলে তোমাকে হত্যা করা হবে; এর পরেও যদি সে ছালাত আদায় না করে তাহলে তাকে তিনদিন বন্দি করে রাখতে হবে, এর মধ্যে তাওবাহ করলে ভালো নতুবা তাকে মুরতাদ বা স্বধর্মত্যাগী হিসাবে হত্যা করতে হবে। হানাফী মাযহাবের মতানুযায়ীও তাকে স্বধর্মত্যাগী হিসাবে হত্যা করতে হবে’ (ফিক্বহ বিশ্বকোষ, ২৭/৫৩-৫৪ পৃ.; আল-মুগনী, ২/১৫৬ পৃ.)।

‘ইসলাম ওয়েব’-এর আলেমগণ বলেন, ‘অন্যান্য কাফিরের ন্যায় প্রয়োজনে ও ধর্মীয় স্বার্থে ছালাত ত্যাগকারীর বাড়িতে হালাল খাদ্য খাওয়া জায়েয’ (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-১৩১৬২৯, ১১০৭৯, ২৬৭৮৬, ৩৯১৩৭, ৬৫১৮৮)। আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একজন ইয়াহুদী রাসূল (ﷺ)-কে দাওয়াত করেছিলেন, যবের রুটি ও পুরাতন চর্বির তেল দ্বারা তৈরিকৃত তরকারী খাওয়ার জন্য। তিনি তার দাওয়াত ক্ববুল করেছিলেন (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৮৬০; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল, ১/৭১ পৃ.)। তবে তার যব্হকৃত পশুর গোশত খাওয়া জায়েয নয়। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী ছালাত ত্যাগকারী কাফির ও মুরতাদ হওয়ায় তার যব্হকৃত পশুর গোশত খাওয়া জায়েয নয় (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১০/২৭৪; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ২২/৩৬৯ ও ৪৪৫ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : তারেক, বাঘা, রাজশাহী।





প্রশ্ন (১৫) : চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কি তায়াম্মুম করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : জনৈক বক্তা বলেন, যে বান্দা রামাযানের ছিয়াম পালন করে তার সাথে প্রত্যেক দিন তাঁবুতে সুরক্ষিত হুরদের মধ্য হতে একজনকে বিবাহ দিয়ে দেন। প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে ৭০টি দামী কাপড় থাকবে। প্রত্যেকটির রং হবে পৃথক পৃথক। তাকে ৭০ প্রকারের সুগন্ধিযুক্ত রং দেয়া হবে। এক রঙের সাথে অন্য রঙ মিলবে না। প্রত্যেকেই বসে থাকবে হীরার খাটে, যাতে মুক্তা দ্বারা বিন্যস্ত করা থাকবে ৭০টি বিছানা, যার আস্তর থাকবে রেশমের। ৭০টি বিছানার উপর থাকবে ৭০টি পালঙ্ক। প্রত্যের স্ত্রীর জন্য থাকবে ৭০ জন্য সেবিকা, যারা তার সেবা করবে। আর ৭০ জন সেবিকা থাকবে তার সাথে মুলাক্বাতের জন্য। আর প্রত্যেক সহচরের সাথে থাকবে অনেক সম্ভ্রান্ত সাথী। জান্নাতে স্বর্ণের পাত্র থাকবে তাতে বিভিন্ন রঙের খাবার থাকবে। প্রথম যে স্বাদ পাওয়া যাবে শেষেও সে স্বাদ পাওয়া যাবে। আর তার স্বামীকেও অনুরূপ লাল হীরার খাট দেয়া হবে, যার উপর দু’টি স্বর্ণের বালা থাকবে, যা বিন্যস্ত থাকবে লাল হীরা দ্বারা। এটা রামাযানের প্রত্যেক দিন ছিয়াম পালনকারীর জন্য, অন্য নেক আমলের জন্য নয় (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর হা/৯৬৭)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫১) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির বর্তমানে পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু পাওনাদারদের কাছে মিথ্যা কথা বলতে হয়। এমতাবস্থায় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করে ব্যাংকের নিকট ঋণগ্রস্ত থাকা যাবে কি? যদিও এই লোন সূদ যা হারাম। আবার বান্দার হক্বও আল্লাহ মাফ করবেন না। আল্লাহর কাছে তওবা করে কি ব্যাংক থেকে লোন নেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৪) : কবরে লাশকে কিভাবে রাখতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : জনৈক ব্যক্তি ভাড়া বাসায় থাকে। সেখানে একজন হিন্দু ও আরেকজন মুসলিম থাকে। মুসলিম নিয়মিত ছালাত আদায় করে না এবং দ্বীন সম্পর্কে কিছুটা জানলেও আমল করে না। এদের সাথে থাকা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : বগলের পশম ও নাভীর নিচের পশম কত দিন পর কাটতে হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : কুরআন মাজীদের অনেক জায়গাতে আল্লাহ তা‘আলা নিজেকে আমরা (বহুবচন) শব্দ ব্যবহার করেছেন। এর ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : জনৈক ব্যক্তি পূর্বে যাকাত আদায় করেনি। এখন বিগত বছরগুলোর যাকাত কিভাবে আদায় করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : আমাদের এলাকায় একটি হাদীছ প্রচলিত রয়েছে যে, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে তার কোন মুসলিম ভাইকে দেখতে যাবে, তাকে জাহান্নাম হতে ষাট বছরের পথ দূরে রাখা হবে’ (আবুদাঊদ, হা/৩০৯৭, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : জনৈক বক্তা নিম্নের হাদীছটি পেশ করেন, তোমরা বরকতপূর্ণ জয়তুন গাছের তেল ব্যবহার কর এবং ঔষধ হিসাবে ব্যবহার কর।‌ কারণ তা অর্শ রোগের আরোগ্য দানকারী (ত্বাবরাণী হা/১৪১৯৩)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : আল্লাহ তা‘আলার বাণী- ‘নিশ্চয় আপনি যাকে ভালোবাসেন ইচ্ছে করলেই তাকে হেদায়াত দিতে পারবেন না’ (সূরা আল-ক্বাছাছ : ৫৬) এবং তাঁর বাণী: ‘নিশ্চয় আপনি সরল পথের দিকে হেদায়াত করেন’ (সূরা আশ-শূরা : ৫২)। উক্ত আয়াতদ্বয়ের মাঝে সমন্বয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : আমি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। আমাকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মানুষ ও প্রাণীর ছবি সম্বলিত ডিজাইন করতে হয়। ইসলামী শরী‘আতে এটা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ