উত্তর : এমতাবস্থায় রাসূল (ﷺ) বাড়ীতে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দান করেছেন (আহমাদ হা/৩৬০১, সনদ ছহীহ)। তাছাড়া জামা‘আতের চেয়ে ওয়াক্তকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে বলেছেন, আমীরগণ যখন ছালাতের ওয়াক্ত থেকে সরিয়ে ছালাত দেরী করে পড়বে বা ছালাতকে তার ওয়াক্ত থেকে মেরে ফেলবে, তখন তুমি কী করবে? আমি তখন বললাম, আপনি আমাকে কী করতে বলছেন? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ ‘ছালাতের সময়েই ছালাত আদায় করে নাও। অতঃপর তাদের সাথে যদি আদায় করতে পার, তাহলে আদায় কর। তবে তা তোমার জন্য নফল হবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪৮ (ইফাবা, হা/১৩৩৮); মিশকাত, হা/৬০০)।
তাছাড়া এ সমস্ত মসজিদের ইমামের আক্বীদা কুফর ও শিরকমিশ্রিত। তারা বিশ^াস করে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, তিনি নিরাকার, মুহাম্মাদ (ﷺ) গায়েব জানতেন, তিনি মারা যাননি, তিনি ছিলেন নূরের তৈরি ইত্যাদি। এ ধরনের আক্বীদা পোষণকারী ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২/৩৮)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান, জামালপুর।