উত্তর : ‘ওশর’ শব্দের অর্থ এক-দশমাংশ। ফসল যদি আকাশের পানি, ঝর্ণার পানি এবং কূপের পানি দ্বারা উৎপাদিত হয়, তাহলে তা হতে ওশর বা এক-দশমাংশ যাকাত দিতে হবে। আর যদি সেচ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফসল উৎপাদিত হয়, তাহলে ‘নিছফে ওশর’ বা বিশ ভাগের একভাগ যাকাত দিতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৮৩; মিশকাত, হা/১৭৪৭)। উল্লেখ্য, উৎপাদিত ফসল প্রায় ২২ মন ২০ কেজি হলে তার উপর যাকাত ফরয হয়। অর্থাৎ নিছাব পূর্ণ হয়। ফসল যেদিন তুলবে সেদিনই ওশর বের করবে (সূরা আন‘আম: ১৪১)।
কৃষিপণ্যের যাকাতের নিছাব হল পাঁচ ওয়াসাক্ব। রাসূল (ﷺ) বলেন, পাঁচ ওয়াসাক্ব’-এর কম উৎপন্ন ফসলের যাকাত নেই (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৮৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৭৯; মিশকাত, হা/১৭৯৪)। ওয়াসাক্বের পরিমাণ হল- ১ ওয়াসাক সমান ৬০ ছা‘। আর ৫ ওয়াসাক্ব সমান ৬০দ্ধ৫= ৩০০ ছা‘। ১ ছা‘ সমান ৩ কেজি হলে ৩০০ ছা‘ সমান ৯০০ কেজি হয়। অর্থাৎ ২২ মন ২০ কেজি। এই পরিমাণ শস্য বৃষ্টির পানিতে উৎপাদিত হলে ১০ ভাগের ১ ভাগ যাকাত ফরয। আর নিজে পানি সেচ দিয়ে উৎপাদন করলে ২০ ভাগের ১ ভাগ যাকাত দিতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৮৩; মিশকাত, হা/১৭৯৭)।
প্রশ্নকারী : আমীনুল ইসলাম, জয়পুরহাট।