বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন
উত্তর : শরী‘আতে নারীদের প্রতি তাকানোকে হারাম করা হয়েছে। ইচ্ছা করে এই নিষিদ্ধ কাজ করা কাবীরা গোনাহ। জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ عَنْ نَظْرَةِ الْفَجْأَةِ فَأَمَرَنِيْ أَنْ أَصْرِفَ بَصَرِيْ ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে (কারো প্রতি) হঠাৎ দৃষ্টি পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। তিনি আমাকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে আদেশ করলেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৫৯)। আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, لَا تُتْبِعِ النَّظَرَ النَّظَرَ، فَإِنَّ الْأُولَى لَكَ وَلَيْسَتْ لَكَ الْآخِرَةُ ‘কোন অ-মুহরিমা স্ত্রীলোকের প্রতি এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকবে না। প্রথম বারের দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ। তারপরের দৃষ্টি বৈধ নয়’ (আবূ দাউদ, হা/২১৪৯; আহমাদ, হা/১৩৬৯)।

আকস্মিকভাবে কারো প্রতি চোখ পড়ে যাওয়া আর ইচ্ছাকৃত কারো প্রতি তাকানো সমান কথা নয়। প্রথমবার যে চোখ কারো উপর পড়ে গেছে, তার মূলে ব্যক্তির ইচ্ছার বিশেষ কোন যোগ থাকে না; কিন্তু পুনর্বার তাকে দেখা ইচ্ছাক্রমেই হওয়া সম্ভব। এ জন্যই প্রথমবারের দেখায় কোন দোষ হবে না; কিন্তু দ্বিতীয়বার তার দিকে চোখ তুলে তাকানো ক্ষমার অযোগ্য। বিশেষত এ জন্য যে, দ্বিতীয়বারের দৃষ্টির পিছনে মনের কলুষতা ও লালসা থাকাই স্বাভাবিক। আর এ ধরনের দৃষ্টি দিয়ে পরস্ত্রীকে দেখা স্পষ্ট হারাম। উম্মে সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর এক হাদীছের ভিত্তিতে আল্লামা শাওকানী (রাহিমাহুল্লাহ) লিখেছেন, يحرم على المرأة نظر الرجل كما يحرم على الرجل نظر المرأة ‘পুরুষদেরকে দেখা মেয়েদের জন্য হারাম, ঠিক যেমন হারাম পুরুষদের জন্য মেয়েদের দেখা’ (নাইলুল আওত্বার, ৬/১৭৭ পৃ.)। এর কারণ স্বরূপ তিনি লিখেছেন যে,

ولأن النساء أحد نوعي الآدميين فحرم عليهن النظر إلى النوع الآخر قياسا على الرجال ويحققه أن المعنى المحرم للنظر هو خوف الفتنة وهذا في المرأة أبلغ فإنها اشد شهوة وأقل عقلا فتسارع إليها الفتنة أكثر من الرجل

‘কেননা মেয়েলোক মানব জাতিরই অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি। এজন্য পুরুষের মতই মেয়েদের জন্য তারই মত অপর প্রজাতি পুরুষদের দেখা হারাম করা হয়েছে। এ কথার যথার্থতা বোঝা যায় এ দিক দিয়েও যে, গায়রে মুহাররমের প্রতি তাকানো হারাম হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে যৌন বিপর্যয়ের ভয়। আর মেয়েদের ব্যাপারে এ ভয় অনেক বেশী। কেননা যৌন উত্তেজনা যেমন মেয়েদের বেশী, সে পরিমাণে বুদ্ধিমত্তা তাদের কম। আর পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের কারণেই অধিক যৌন বিপর্যয় ঘটে থাকে’ (নাইলুল আওত্বার, ৬/১৭৭ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : নাহিদ হাসান, বগুড়া।





প্রশ্ন (৮) : রাসূল (ﷺ) তাঁর মায়ের কবরের পার্শ্বে গিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করলে আল্লাহ তাকে জীবিত করে দেন। অতঃপর রাসূল (ﷺ)-এর উপরে ঈমান আনেন মর্মে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? অনুরূপভাবে নবীজীর ‘পিতা-মাতা’ উভয়ের ঈমান আনার যে বর্ণনা প্রচলিত আছে, সেগুলো ছহীহ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : প্রচলিত আছে যে, ‘৭০ বছর বয়স হলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কোন পাপ ফেরেশতারা লিখেন না’। উক্ত দাবী কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : বাসায় গিয়ে ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানো যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : লোকসানেরও অংশীদার হবে এমন শর্তে যে কোন ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখলে কি সেই টাকার লভ্যাংশ নেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : জন্ম সনদে বয়স কমিয়ে দেয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর আইন মেনে শাসনকার্য পরিচালনা করে না তারা কাফির, যালেম, ফাসেক। বর্তমানে যারা আল্লাহর আইন দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে না, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা কি আবশ্যক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : সালাফী মানহাজ বলতে কী বুঝায়? সালাফীদের বৈশিষ্ট্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ফজরের সুন্নাত ছালাত বাড়িতে পড়ার পর মসজিদে গিয়ে সময় থাকলে কি তাহিইয়াতুল মসজিদ/দুখুলুল মসজিদের দু’রাক‘আত আদায় করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, ছেলে-মেয়ে ও নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য বগলের লোম তুলে ফেলতে হবে, ব্লেড ব্যবহার করা যাবে না। এই দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : বর্তমানে নাপিতেরা চুল কাটার সময় মাথার ডানে-বামে এবং পেছনে চুল ছোট করে কাটে, সামনে তারচেয়ে বেশি লম্বা রাখে। এভাবে চুল কাটলে কি গুনাহগার হব? শরী‘আতে চুলকাটার পদ্ধতি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে কাজের লোকের মত আচরণ করে, উঠতে বসতে বিশ্রী গালি-গালাজ করে, রাস্তা-ঘাট অপমান ও অবহেলা করে। এমতাবস্থায় উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য স্ত্রী কি তার পিতা-মাতাকে জানাতে পারে? জানালে কি অন্যায় হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ঈদের দিনে কুরবানীর পশুর রক্ত ঝরানোর চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক পসন্দনীয় কোন আমল নেই। সে ক্বিয়ামত দিবসে উক্ত পশুর শিং, খুর, লোম প্রভৃতি নিয়ে উপস্থিত হবে এবং তার রক্ত যমীনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নির্ধারিত মর্যাদার স্থানে পতিত হয়। অতএব তোমরা প্রফুল্লচিত্তে কুরবানী কর’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ