শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : মাথার চুল সমান ভাবে কাটা উচিত। এতে অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা যাবে না। নবী (ﷺ) বলেন, مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই দলভুক্ত’ (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩৩; ছহীহুল জামে‘, হা/ ৬১৪৯)। সাধারণত অন্য ধর্মের লোকেরাই কিছু চুল ছোট আর কিছু বড় করে রাখে যেটাকে হাদীছের ভাষায় কাযা (قزع) বলা হয়। ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘কাযা’ নিষেধ করেছেন। রাবী (উমার ইবনু নাফি) বলেন, আমি নাফি (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, কাযা কী? তিনি বললেন, শিশুর মাথার (চুল) কতকাংশ মুড়ানো এবং কতকাংশ রেখে দেয়া’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১২০)।

ইবনু উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ধ-কে কাযা থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। রাবী উবাইদুল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কাযা’ কী? তখন আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) আমাদের ইশারা দিয়ে দেখিয়ে বললেন, ‘শিশুদের যখন চুল কামানো হয় তখন এই, এই জায়গায় চুল রেখে দেয়া। এ কথা বলার সময় উবাইদুল্লাহ তার কপাল ও মাথার দু’পাশ দেখালেন। পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হল- বালক ও বালিকার কি একই হুকুম? তিনি বললেন, আমি জানি না। এভাবে তিনি বালকের কথা বলেছেন। উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি এ কথা পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, পুরুষ শিশুর মাথার সামনের ও পিছনের দিকের চুল কামানো দোষনীয় নয়। আর (অন্য এক ব্যাখ্যা মতে) ‘কাযা’ বলা হয়, কপালের উপরে কিছু চুল রেখে বাকী মাথার কোথাও চুল না রাখা। অনুরূপভাবে মাথার চুল একপাশ থেকে অথবা অপর পাশ থেকে কাটা’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৯৬)।

কেউ যদি একান্তই লম্বা চুল রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই হাদীছ অনুযায়ী রাখতে হবে। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَكَانَ لَهُ شَعْرٌ فَوْقَ الْجُمَّةِ وَدُونَ الوفرة

‘আমি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একই পাত্র হতে গোসল করতাম। তখন রাসূল (ﷺ)-এর মাথার চুল জুম্মার উপরে এবং ওয়াফরার নিচে ছিল’ (তিরমিযী, হা/১৭৫৫; ইবনু মাজাহ, হা/৬০৪)। জুম্মাহ হলো চুলের এমন পরিমাণ যা মাথা থেকে কাঁধ পর্যন্ত নেমে যায়। আর ওয়াফরাহ হলো যা কানের লতি পর্যন্ত হয়। জুম্মাহ ও ওয়াফরাহ এর মাঝামাঝি চুলকে আরবীতে লিম্মাহ বলা হয়। তাই কোন কোন বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লিম্মাহওয়ালা চুলের অধিকারী ছিলেন বলে বলা হয়েছে। উভয় বর্ণনার উদ্দেশ্য একই। তবে রসূলুল্লাহ (ﷺ) বড় জুম্মাহ চুলের অধিকারী ছিলেন বলেও বর্ণনায় পাওয়া যায়।

বিভিন্ন প্রকার চুলের বিবরণের মাঝে সামঞ্জস্য করতে মুহাদ্দিছীনে কিরাম বলেন, এসব হাদীছ পরস্পর বিরোধী নয়। কেননা চুলের বিভিন্ন অবস্থা হতে পারে। এক সময় কাটতে দেরী হয়েছে। তাই চুল জুম্মায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা যিনি দেখেছেন তিনি তা বর্ণনা করেছেন। আরেক সময় চুল কেটেছেন তখন তা ছোট হয়েছে। কাটার নিকটবর্তী সময়ে যিনি দেখেছেন তিনি এ অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন। এভাবেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চুলের বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। মোটকথা, রাসূল (ﷺ)-এর চুল লম্বা ছিল। আমরা যাকে বাবরি বলে থাকি। তবে কোন সময় তা অধিক লম্বা হয়ে কাঁধ পর্যন্ত চলে যেত, আবার কোন সময় কানের লতি পর্যন্ত থাকত এবং কোন কোন সময় এর মাঝামাঝি থাকত (মিরক্বাতুল মাফাতীহ হা/৪৪৬০-এর হাদীছে আলোচনা দ্র.)।


প্রশ্নকারী : রাসেল বিন ইসমাইল, সরিষাবাড়ি, জামালপুর।





প্রশ্ন (৩৬) : প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের অনুসরণ করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : বর্তমান চলমান সংকটের (করোনা ভাইরাসের) কারণে অনেকেই ‘সময় বা যুগকে’ গালি দিচ্ছে, এভাবে সময় বা যুগকে গালি দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : বর্তমানে ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে বিভিন্ন উপায়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়। যেমন: গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি। সেখানে কেউ যদি সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ইউটিউব মার্কেটিংয়ের কাজ করে, তাহলে কি তা সম্পূর্ণ হারাম হবে? কারণ এই কাজগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় কমবেশি মেয়েদের ছবি/ভিডিও থাকে। কাজগুলো মূলত প্রমোশনাল বেইজড। ফলোয়ার/সাবস্ক্রাইব/ভিজিটর/প্রডাক্টের সেল বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : নবী নূরের তৈরি, আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান, নবী হাজির নাজির, সবাই মিলে দাঁড়িয়ে তাঁকে সালাম দিতে হবে এবং মাযার সংক্রান্ত কার্যক্রমগুলো জায়েয বলে আক্বীদা পোষণ করে এমন ব্যক্তির পিছনে ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : বিবাহ পড়ানোর পর ইমামকে যে হাদিয়া দেয়া হয় তা নেয়া যাবে কি? মসজিদ কমিটির লোকজন মসজিদ, গোরস্থান ইত্যাদির জন্য বরপক্ষের কাছে দান চায়, দিতে না চাইলে চাপ প্রয়োগ করে টাকা নেয়া হয়। এগুলো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : নারীদের জন্য ইসলাম অনুমোদিত পেশা কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ‘তাঁর উম্মতকে রামাযান মাসের শেষ রাতে মাফ করা হয়। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! এটা কি ক্বদরের রাত্রি? তিনি বললেন, না; বরং এই কারণে যে, কর্মচারীর বেতন দেয়া হয়, যখন সে তার কর্ম শেষ করে (আহমাদ, হা/৭৯০৪; মিশকাত, হা/১৯৬৮) মর্মে বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : মুসলিম রুক্বইয়্যাহকারী কি কোন অমুসলিম রোগীকে রুক্বইয়্যাহ করতে পারে এবং কোন বিধর্মীর কাছে থেকে কি রুক্বইয়্যাহ নেয়া যাবে, যদি তার পদ্ধতি সঠিক হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : জর্দা ছাড়া শুধু পান-সুপারি খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ছালাতের সময় ব্যতীত মসজিদের ফ্যান বা বাতি জ্বালিয়ে ব্যক্তিগত আমল করলে গুনাহ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : জনৈক ব্যক্তি বলেছে যে, ছালাতে পুরুষরা নাভির নীচে হাত বাঁধবে এবং মেয়েরা বুকের উপর হাত বাঁধবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ