শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর :‘ওয়াহ্হাবী’ কথাটি কুরআন-সুন্নাহর প্রকৃত অনুসারী আহলুল হাদীছ বা সালাফীদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত গালি হিসাবে সমাজে প্রচলিত। এটা মিথ্যাচার, তথ্য সন্ত্রাস এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। অন্যান্য বিকৃত মাযহাবের মত এটা কোন মাযহাবও নয়। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ) শিরক-বিদ‘আত ও জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে যে সংস্কার আন্দোলন করেছিলেন, সেটা ছিল রাসূল (ﷺ) ও ছাহাবায়ে কেরামের দাওয়াত ও তাবলীগের অনুকরণে একটি বিশেষ শুদ্ধি আন্দোলন। আর আহলেহাদীছগণও সারা বিশ্বে এই সংস্কারমূলক দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাই পথভ্রষ্ট বিদ‘আতী ও মাযারপূজারীরা এই সংস্কার আন্দোলনকে সহ্য করতে না পেরে আহলেহাদীছ বা সালাফীদেরকে ‘ওয়াহ্হাবী’ নামে চিত্রিত করে এবং অপপ্রচার চালায়।

১২০০ হিজরী শতক বা ১৭০০ খ্রিষ্টীয় শতকে যখন সঊদী আরবের মুসলিমরা জাহিলিয়্যাতের যুগের ন্যায় পুনরায় শিরকের গভীর গহিনে হাবুডুবু খাচ্ছিল। বিদ‘আত ও কুসংস্কারের কালো মেঘে ঢাকা পড়েছিল সুন্নাতের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন আকাশ। ঠিক তখনই ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ) রাসূল (ﷺ)-এর দেখানো পদ্ধতিতে আরবের বুক থেকে শিরক ও বিদ‘আতকে উৎখাত করে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর বিধান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন। কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর অনুসারীদের নিয়ে সফল আন্দোলন গড়ে তোলেন। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। তিনি তৎকালীন সঊদী আরবের শাসক মুহাম্মাদ ইবনু সাঊদের পৃষ্ঠপোষকতায় ভূপৃষ্ঠের উপর থেকে কুসংস্কার, জাহিলিয়্যাত ও শিরকের মূলোৎপাটন করে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমেই সঊদী আরবকে শিরকমুক্ত করেছিলেন। এরপর থেকেই মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব নামটি মাযার পূজারী, ক্ববর পূজারী, বিদ‘আতীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠে। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে, যখনই কেউ ক্ববর, মাযার বা বিদ‘আতের প্রতিবাদ করে, তখন তাঁকে ওয়াহ্হাবী, নবীর দুশমন ইত্যাদি অপবাদ দেয়া হয়।

‘ওয়াহ্হাবী’ নামটি এ আন্দোলনের কর্ণধার মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব বা তাঁর অনুসারীদের দেয়া নয়। পরবর্তীতে বিদ্বেষবশতঃ এই নামে চিত্রিত করা হয়েছে। হাসান ইবনু আব্দুল্লাহ আলে শায়খ এ সম্পর্কে বলেন, ‘ওয়াহ্হাবিয়্যাহ বিশেষণটি এ আন্দোলনের অনুগামীরা সৃষ্টি করেনি। বরং তাদের বিরুদ্ধবাদীরা তাদেরকে পৃথক করার জন্য এটা ব্যবহার করে যেন মানুষ তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকে এবং শ্রোতারা মনে করে যে, এ আন্দোলন প্রচলিত বড় বড় চারটি মাযহাবের বিপরীতে পঞ্চম একটি মাযহাব নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এ আন্দোলনের কর্মীরা নিজেদেরকে ‘সালাফী’ এবং তাদের দাওয়াতকে ‘সালাফী দাওয়াত’ বলে আখ্যায়িত করাকেই অধিক পসন্দ করতেন (আল-ওয়াহ্হাবিয়াহ ওয়া যাঈমুহা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব, ৮/৮২১ পৃ.)। ষড়যন্ত্রমূলক এই কথাটি আজও সারাবিশ্বে প্রচলিত। অথচ আসল রহস্য অনেকেই জানে না।


প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান, মাদারীপুর।





প্রশ্ন (১৪): গরীব-মিসকীন ছাড়া ক্বুরআনে উল্লেখিত আট শ্রেণীর অন্যদের মাঝে কি ফিতরা বণ্টন করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : অপবিত্র অবস্থায় অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করলে পরে গোসল করার সময় কি ফরয গোসলের নিয়ত করতে হবে? কনকনে ঠাণ্ডার কারণে ফরয গোসলে কষ্ট বোধ হলে শুধু ওযূ করে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৭) : ফরয কিংবা নফল ছালাতে যে সমস্ত জায়গায় দু‘আ করা হয়, সে সব জায়গায় কুরআনের দু‘আমূলক আয়াত পরা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ফরয ছালাতের পর পঠিত যিকির-আযকারের সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করার সময় কি শুরুতে ‘আঊযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ পড়তে হবে, না-কি অন্যান্য যিকিরের সাথে সরাসরি আয়াতুল কুরসি পড়ে নিলেই হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক ব্যক্তি রাগের বশবর্তী হয়ে তার স্ত্রীকে বলে যে, আমার সাথে দেখা করলে কিংবা আমার সাথে কথা বললে ‘তুই আমার মা আর আমি তোর ছেলে’। তারা ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত। এক্ষণে তার করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : জেহরী ছালাতে ইমাম আমীন বলতে ভুলে গেলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে না বললে মুক্তাদীগণের আমীন বলতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ছাহাবায়ে কেরাম বলতেন, ‘আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক’। এই কথার অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : বৃদ্ধ অসুস্থ ব্যক্তি ছিয়াম পালন করতে না পারলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : বিকাশ, রকেট, নগদ বা এ ধরনের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এইচ.আর কিংবা এজেন্ট হিসাবে কাজ করা জায়েয কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ৮ লক্ষ টাকা এডভান্স দিয়ে একটি দোকান মাসিক ৮ হাজার টাকায় ভাড়া দেয়া হয়েছে। ভাড়া গ্রহীতা নিজে ব্যবসা না করে অন্যের নিকট কোন এ্যাডভ্যান্স না নিয়ে মাসিক ১৬ হাজার টাকায় ভাড়া দিতে পারবে কি? অর্থাৎ দোকান ভাড়া নিয়ে অন্যের নিকট ভাড়া দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : তাকবীরে তাহরিমা ও রাফ‘উল ইয়াদাইন করার সময় হাতের আঙ্গুল খোলা খোলা থাকবে, না-কি পরস্পরের সাথে মিলানো থাকবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) কোন্ কোন্ শস্যের যাকাত প্রদান করা ফরয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ