বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
উত্তর : আল্লাহর বিধানকে অকাট্য প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন মু‘জিযা প্রদান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক যুগের নবীকে যুগোপযোগী বিশেষ বিশেষ মু‘জিযা দিয়ে প্রেরণ করেছেন। মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর যুগে যাদুর খুব প্রচলন ছিল এবং যাদুকরদেরকে অত্যন্ত সম্মান করা হত। তাই আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে এমন মু‘জিযা দান করেন যে, যাদুকরগণ বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়ে এবং তাদের পূর্ণ বিশ্বাস তৈরি হয় যে, এটা কখনও যাদু হতে পারে না, বরং এটা মহাপ্রতাপশালী আল্লাহর একটা বড় দান। অতএব তারা অবনত মস্তকে মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং অবশেষে তারা আল্লাহ পাকের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত হয়। অনুরূপভাবে ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর যুগটা ছিল চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিকদের যুগ। তথায় তখন বড় বড় বৈজ্ঞানিক এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিদ্যমান ছিল। সুতরাং মহান আল্লাহ ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কে এমন মু‘জিযা দান করেন যার সামনে ঐ বড় বড় চিকিৎসকগণ হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে। জন্মান্ধকে চক্ষু দান করা, শ্বেতকুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করা ও নির্জীব পদার্থের মধ্যে প্রাণ দেয়া এবং সমাধিস্থ ব্যক্তিকে জীবিত করার ক্ষমতা কোন ব্যক্তির রয়েছে? একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশক্রমে মু‘জিযা স্বরূপ তাঁর দ্বারা এ সমুদয় কার্য সাধিত হয়। অনুরূপভাবে যে যুগে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর আবির্ভাব ঘটে সেটা ছিল সাহিত্য, কবিতা ও বাকপটতার যুগ। এসব বিষয়ে খ্যাতনামা কবিগণ এমন পূর্ণতা অর্জন করেছিল যে, সারা দুনিয়া তাদের সামনে মাথা হেঁট করেছিল। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ﷺ)-কে এমন এক বিস্ময়কর গ্রন্থ দান করলেন যার ঔজ্জ্বল্যের সামনে তাদের সমস্ত দীপ্তি ম্লান হয়ে যায়। তাঁকে এমন মু‘জিযাপূর্ণ কুরআন দান করলেন যা ছন্দে-মাধুর্যে এবং সাহিত্যে পরিপূর্ণ। যার নজীর পেশ করতে বিশ্বের বড় বড় সাহিত্যিক ও কাবীরা অপারগ সাব্যস্ত হয়েছে। চ্যালেঞ্জ দেয়া সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত অপারগ সাব্যস্ত হয়েছে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত অপরাগই থাকবে (তাফসীরে ইবনে কাছীর, সূরা আলে ইমরানের ৪৯ নং আয়াত দ্রষ্টব্য)।


প্রশ্নকারী : সুলতান, নওদাপড়া, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৯) : যদি সূদ বা হারামে জড়িত থাকা অবস্থায় হারাম ছাড়া দু‘আ করে, তাহলে দু‘আ কবুল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : মসজিদের দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ তলায় ছালাত অবস্থায় যান্ত্রিক ত্রুটি বা বিদ্যুৎ চলে গেলে ইমামের কোনকিছুই শ্রবণ করা যায় না। এমতাবস্থায় মুছল্লীগণ কী করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : আমলে ছালেহ বলতে কোন্ কোন্ আমলকে বোঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : ‘হাজারে আসওয়াদ ভূপৃষ্ঠে আল্লাহর ডান হাত। সুতরাং যে তাতে হাত লাগাল এবং চুমু খেল সে যেন আল্লাহর সাথে মুছাফাহা করল এবং তার ডান হাতে চুমু খেল’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : অসাবধানতাবসত পেশাবের ফোঁটা শরীরে বা কাপড়ে লেগে গেলে করণীয় কী? আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : বাবার মৃত্যুর পর তাঁর সম্পদ আমি, আমার বোনেরা ও আমার মা নিয়মানুযায়ী ভাগ করে নিয়েছি। এক বছর পর আমার মা মারা গেলেন। এখন মায়ের সম্পত্তি কে পাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : যঈফ হাদীছ কি সর্বক্ষেত্রেই বর্জনীয়? কোন কোন ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : ‘ষাট বছরের জীবনে কেউ এক ওয়াক্ত ছালাত ছেড়ে দিলেও সে কাফের’। সালাফদের থেকে এরকম কোন বক্তব্য পাওয়া যায় কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : কুরআনে বলা আছে, যারা জাহান্নামে যাবে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী। কিন্তু ছহীহ বুখারীতে রয়েছে যে, আল্লাহ এক সময় মুসলিম জাহান্নামীদেরকে মাফ করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তাহলে কি এই হাদীছটি কুরআনের ঐ আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক নয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭): পশুদের বংশবৃদ্ধি করানোর লক্ষ্যে ব্যবসা করা কী জায়েয? যেমন গাভীকে টাকার বিনিময়ে এঁড়ে গরু দিয়ে যৌন মিলন ঘটানো হয়। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ক্যামেরা বা মোবাইলে ছবি উঠালে এবং সেই ছবি মোবাইলে সেভ করে রাখলে কোন গুনাহ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : জমিদাতা মসজিদের নামে জমি ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন। মুছল্লীরা ওয়াকফ করা জমিতেই মসজিদ নির্মাণ করেছেন। সেখানে দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবৎ ছালাত আদায় করা হছে। এতদিন পর দলীল বের করে দেখা যায় যে, দলীলে দাগ নাম্বার ভুল। এমতাবস্থায় উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ