বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
উত্তর : আল্লাহর বিধানকে অকাট্য প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন মু‘জিযা প্রদান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক যুগের নবীকে যুগোপযোগী বিশেষ বিশেষ মু‘জিযা দিয়ে প্রেরণ করেছেন। মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর যুগে যাদুর খুব প্রচলন ছিল এবং যাদুকরদেরকে অত্যন্ত সম্মান করা হত। তাই আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে এমন মু‘জিযা দান করেন যে, যাদুকরগণ বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়ে এবং তাদের পূর্ণ বিশ্বাস তৈরি হয় যে, এটা কখনও যাদু হতে পারে না, বরং এটা মহাপ্রতাপশালী আল্লাহর একটা বড় দান। অতএব তারা অবনত মস্তকে মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং অবশেষে তারা আল্লাহ পাকের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত হয়। অনুরূপভাবে ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর যুগটা ছিল চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিকদের যুগ। তথায় তখন বড় বড় বৈজ্ঞানিক এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিদ্যমান ছিল। সুতরাং মহান আল্লাহ ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কে এমন মু‘জিযা দান করেন যার সামনে ঐ বড় বড় চিকিৎসকগণ হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে। জন্মান্ধকে চক্ষু দান করা, শ্বেতকুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করা ও নির্জীব পদার্থের মধ্যে প্রাণ দেয়া এবং সমাধিস্থ ব্যক্তিকে জীবিত করার ক্ষমতা কোন ব্যক্তির রয়েছে? একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশক্রমে মু‘জিযা স্বরূপ তাঁর দ্বারা এ সমুদয় কার্য সাধিত হয়। অনুরূপভাবে যে যুগে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর আবির্ভাব ঘটে সেটা ছিল সাহিত্য, কবিতা ও বাকপটতার যুগ। এসব বিষয়ে খ্যাতনামা কবিগণ এমন পূর্ণতা অর্জন করেছিল যে, সারা দুনিয়া তাদের সামনে মাথা হেঁট করেছিল। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ﷺ)-কে এমন এক বিস্ময়কর গ্রন্থ দান করলেন যার ঔজ্জ্বল্যের সামনে তাদের সমস্ত দীপ্তি ম্লান হয়ে যায়। তাঁকে এমন মু‘জিযাপূর্ণ কুরআন দান করলেন যা ছন্দে-মাধুর্যে এবং সাহিত্যে পরিপূর্ণ। যার নজীর পেশ করতে বিশ্বের বড় বড় সাহিত্যিক ও কাবীরা অপারগ সাব্যস্ত হয়েছে। চ্যালেঞ্জ দেয়া সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত অপারগ সাব্যস্ত হয়েছে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত অপরাগই থাকবে (তাফসীরে ইবনে কাছীর, সূরা আলে ইমরানের ৪৯ নং আয়াত দ্রষ্টব্য)।


প্রশ্নকারী : সুলতান, নওদাপড়া, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৩৩) : কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষের শেষদিনের উৎসব (জঅএ উধু) পালন করা হয়। যদি সেখানে ফ্রি মিক্সিং, গান-বাজনা, রং মাখানো না থাকে শুধু টি-শার্টে স্বাক্ষর ও খাওয়া-দাওয়া করা হয়, তাহলে তা জায়েয হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : পুরুষ চিকিৎসক দ্বারা মহিলাদের চিকিৎসা করালে পাপ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : ছাদাক্বাহ ও ওছিয়তের মধ্যে পার্থক্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : কোন এলাকার মসজিদে আযান ও ছালাত না হলে সেখানকার মুসলিমদের কী অবস্থা হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : পোশাকে রংধনুর ছাপ থাকলে তা পরিধান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : প্রচলিত তাবলীগ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : যদি কোন ব্যক্তি নতুন বাড়িতে ওঠে এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লোকজনকে দাওয়াত করে খাওয়ায়, তাহলে জায়েয হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : বিভিন্ন দল ও গ্রুপের মধ্যে যে মতভেদ বিদ্যমান, তাতে একজন মুসলিমের ভূমিকা কেমন হবে?
প্রশ্ন (৩৪) : কোন অসুস্থ ব্যক্তি দু‘আ চাইলে শুক্রবারে জুমু‘আর ছালাতের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : নারী-পুরুষ কি একসাথে চাকরি করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : বন্দকী জমি চাষাবাদ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ‘যে বিয়েতে খরচ যত কম, সেই বিয়েতে বরকত তত বেশি' মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি সহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ