উত্তর : এক্ষেত্রে কিছু সময় দেয়া উচিত। কারণ এগুলো ছালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। অর্থাৎ মাসনূন যিকিরগুলো ও ছুটে যাওয়া সুন্নাত আদায়ের পর ছালাত বা দু‘আ শিক্ষা দিতে পারে। তাছাড়া হাদীছে এসেছে, ফরয ছালাতের পর মুছাল্লীগণ যতক্ষণ স্বীয় স্থানে বসে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতামণ্ডলী তার জন্য দু‘আ করতে থাকে (ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৫)। এটা মুস্তাহাব (তিরমিযী, হা/৫৮৬, সনদ ছহীহ)।
তবে অবশ্যই দ্বীন শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। মসজিদে বসে সাধারণ যিকির-আযকারের চেয়ে দ্বীনি জ্ঞানার্জনের মজলিসে অংশগ্রহণ করা অধিক উত্তম। যদি বিজ্ঞ আলেম দ্বীনি আলোচনা করেন। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, العلم لا يعدله شيء ‘জ্ঞানের সমকক্ষ কিছুই নেই’। তবে প্রভাষকের উচিত সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে না উঠে একটু অপেক্ষা করা, যাতে করে মাসবূক্ব ব্যক্তি তার ছুটে যাওয়া ছালাত সম্পূর্ণ করে নিতে পারে এবং মুছল্লীরা তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ ও একবার ‘আল্ল-হুম্মা আংতাস্ সালা-মু ওয়া মিংকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম’ পাঠ করতে পারে। কিন্তু যদি ইমাম অনুভব করেন যে, সঙ্গে সঙ্গে আরম্ভ না করলে মুছল্লীরা বেরিয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে র্দাস শুরু করাও দোষনীয় নয়। দারস শেষে মুছল্লীরা তাদের অবশিষ্ট যিকির-আযকার ও বাকি সুন্নাত আদায় করবে। তবে সুন্নাত ছালাত বাড়িতে আদায় করা অধিক উত্তম (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৭/২৩৪, ৮/২৮০ ও ১২/১১৫ পৃ.; আরশীফ মুলতাক্বা আহলিল হাদীছ, ৯৭/৮৮ পৃ.; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-১৯৩৯৭৯, ১৩৪১২১)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চারঘাট, রাজশাহী।