উত্তর : নারী-পুরুষ একসাথে চাকরি করা কিংবা লেখাপড়া করতে পারবে না। একসাথে নারী-পুরুষের মেলামেশা হারাম হওয়ার ব্যাপারে শরী‘আতে অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ اِذَا سَاَلۡتُمُوۡہُنَّ مَتَاعًا فَسۡـَٔلُوۡہُنَّ مِنۡ وَّرَآءِ حِجَابٍ ؕ ذٰلِکُمۡ اَطۡہَرُ لِقُلُوۡبِکُمۡ وَ قُلُوۡبِہِنَّ ؕ
‘আর যখন নবীপত্নীদের কাছে তোমরা কোন সামগ্রী চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র (সূরা আল-আহযাব : ৫৩)।
নারী-পুরুষ যেন একসাথে মিলিত না হতে পারে সে জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এমনকি আল্লাহর ঘর মসজিদের ক্ষেত্রেও। তিনি মহিলাদেরকে পুরুষদের থেকে আলাদা করার জন্য ভিন্ন কাতারে পুরুষদের পিছনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছে। মহিলারা যেন আগেভাগে মসজিদ থেকে চলে যেতে পারে, সেটাও তিনি পর্যবেক্ষণ করতেন। এমনকি মেয়েদের জন্য মসজিদে পৃথক দরজা নির্ধারণ করেছিলেন।
উম্মু সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাম ফিরাতেন তখন সালাম শেষ হলেই মহিলাগণ দাঁড়িয়ে পড়তেন। তিনি (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ানোর পূর্বে কিছুক্ষণ বসে অপেক্ষা করতেন। ইব্নু শিহাব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আমার মনে হয়, তাঁর এ অপেক্ষা এ কারনে যাতে মুছল্লীগণ হতে যে সব পুরুষ ফিরে যান তাদের পূর্বেই মহিলারা নিজ অবস্থানে পৌঁছে যেতে পারেন (ছহীহ বুখারী, হা/৮৩৭)।
ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমরা যদি এই দরজাটি কেবল নারীদের (মসজিদে যাতায়াতের) জন্য ছেড়ে দিতাম! নাফি‘ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, (এরপর থেকে) ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মৃত্যু পর্যন্ত ঐ দরজা দিয়ে আর (মসজিদে) প্রবেশ করেননি (আবূ দাউদ, হা/৪৬২)।
প্রশ্নকারী : রাজিবুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা।