উত্তর : কিছু মূর্খ ও ভ্রান্ত প্রকৃতির মানুষ হামেশাই এ কথা বলে থাকে। এদের উদ্দেশ্য খারাপ। তারা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায়। এটি আল্লাহর সাথে ভয়ঙ্কর প্রতারণা। কারণ ঈমান শুধু অন্তরের সাথেই সম্পৃক্ত নয়, বরং ‘মুখের স্বীকারোক্তি, অন্তরের বিশ্বাস এবং কর্মের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করাকে ঈমান বলে’। হাসান আল-বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বাহ্যিক সৌন্দর্য, সাজসজ্জা ও কামনা-বাসনার নাম ঈমান নয়। বরং ঈমান বলতে বুঝায় অন্তরের বিশ্বাসকে কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ করা’। গুনাহের মধ্যে লিপ্ত থাকা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর আনুগত্য না করাই প্রমাণ করে যে তার অন্তরে ঈমান নেই অথবা থাকলেও তা অসম্পূর্ণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ক্রমবর্ধমান হারে সূদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে’ (সূরা আলে ইমরান : ১৩০)। ‘হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় অম্বেষণ কর ও তাঁর পথে সংগ্রাম কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৩৫)। যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করবে এবং সৎকাজ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না (সূরা আল-মায়িদাহ : ৬৯)। যারা ঈমান আনে এবং সৎকার্য করে, যথাযথভাবে ছালাত আদায় করে এবং যাকাত প্রদান করে, তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখও পাবে না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৭)।
উপরিউক্ত আয়াতগুলো থেকে প্রতীয়মাণ হয় যে, আমালে ছালিহ এবং গুনাহ বর্জন করা ব্যতীত ঈমান পরিপূর্ণ হতে পারে না।
প্রশ্নকারী : জহির খান, কুমিল্লা।