সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
উত্তর : ডাক্তারগণ যখন কোন ব্যক্তি সম্পর্কে এই মর্মে সিদ্ধান্ত দিবেন যে, তিনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আর ছিয়াম পালন করতে পারবেন না এবং এ রোগ থেকে সুস্থতারও আশা করা যায় না, তখন ফিদইয়া প্রদান করা ওয়াজিব। চির রোগী ও অতি বৃদ্ধ মানুষ তিনি ছিয়াম পালনে অক্ষম, তিনি ফিদইয়া দিবেন। এজন্য প্রতি ছিয়ামের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাওয়াতে হবে, যার পরিমাণ হল দেশীয় খাদ্যের অর্ধ ছা‘ বা দেড় কেজি। যেমন চাল, গম, খেজুর। আর যদি এর সাথে কোন তরকারী বা গোশত দেয়া হয়, তবে সেটা আরো উত্তম। অথবা খাবার বানিয়ে মিসকীনদেরকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা যায় (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৬৬৮৮৬)। কিন্তু টাকা দিয়ে ফিদিয়া দিলে আদায় হবে না’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১০/১৯৮ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৩২৪৩)। ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আর যে বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি ছিয়াম পালনে অক্ষম সে মিসকীন খাওয়াবে। যেমন আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বৃদ্ধ হওয়ার পর ছিয়াম পালনে অক্ষম হয়ে পড়লে তিনি এক বছর অথবা দু’বছর প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে রুটি ও গোশত খেতে দিতেন এবং ছিয়াম ত্যাগ করতেন’ (তা‘লীকু ছহীহিল বুখারী, হা/৪৫০৫-এর অধ্যায়; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৪৯৯৪৪)।

উল্লেখ্য যে, সাময়িক অসুস্থতার কারণে ছিয়াম রাখতে না পারলে, পরবর্তীতে সেই ছিয়াম ক্বাযা বা পূরণ করে নিবে (সূরা বাক্বারাহ ১৮৪-১৮৫)। সুস্থ অবস্থায় ফিদইয়া দেয়া যাবে না। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সুতরাং স্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগী, অতিশয় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের মধ্যে যারা ছিয়াম পালনে অক্ষম, তাদের উপর প্রতিদিনের ছিয়ামের পরিবর্তে একজন মিসকীন খাওয়ানো ওয়াজিব। সেটা খাদ্য দ্রব্য দান করার মাধ্যমে হোক অথবা রামাযান মাসের দিনের সমান সংখ্যক মিসকীনকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর মাধ্যমে হোক। ঠিক যেমনটি আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বৃদ্ধ হওয়ার পর করেছেন। তিনি ৩০ জন মিসকীনকে একত্রে দাওয়াত করে খাওয়াতেন। এতে তাঁর এক মাসের ছিয়ামের কাফফারা হয়ে যেত (ফাতাওয়াউছ ছিয়াম, পৃ. ১১১)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আহমাদ, বরিশাল।





প্রশ্ন (১৩) : ছালাতে ক্বিরাআত ভুলে গেলে সাহু সিজাদহ দিতে হবে কি? সাহু সিজদাহ দেয়ার সঠিক নিয়ম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জনৈক আলেম বলেন, ‘কোন ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যাবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ততবার মেহমানদারীর সামগ্রী তৈরি করে রাখেন’। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য কুকুর পালন করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : বিনোদনের জন্য বাদ্যযন্ত্রের পরিবর্তে মুখ নাক দিয়ে মিউজিক তৈরি করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : প্রচলিত আছে যে, সমাজের কেউ ই‘তিকাফ না করলে সবাই পাপী হবে। উক্ত কথা কোন ভিত্তি আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীকে তার বাড়ীর মানুষ তাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে চায়। যে কবিরাজ চুন দিয়ে জন্ডিসের ঝাড়ফুঁক করে এবং তিনটি ডাব পড়ে দেয়। এটা কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : নাপাক অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করে তেলাওয়াত যাবে কি? বর্তমানে কম্পিউটার, মোবাইল, ভিডিও চিত্রের মাধ্যমেও কুরআন পড়ার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : নবী (ﷺ)-এর হাসি-খুশি ও রসিকতার ধরন কেমন ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : অন্যের খরচে হজ্জ আদায় করলে সেই হজ্জটি কি ইসলামের ফরয হজ্জ হিসাবে আদায় হবে? অথচ তিনি তার হজ্জের জন্য নিজের সম্পদ থেকে কিছুই ব্যয় করেননি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুকইয়া করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : কোন ব্যক্তি যদি রামাযানের রাত্রিতে স্ত্রী সহবাস করে ঘুমিয়ে যায় এবং অপবিত্র অবস্থায় সাহারী খেয়ে ছিয়াম রাখে, তাহলে ছিয়াম শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : ‘কুযা’ কাকে বলে? কিছু কিছু যুবক তাদের মাথার সাইডের চুলগুলো কেটে মাঝখানের চুলগুলো রেখে দেয়। প্রশ্ন হল- শরী‘আতের দৃষ্টিতে পুরুষের মাথার চুল কাটার পদ্ধতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ